পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন গতকাল বাংলাদেশ প্রবর্তিত শান্তির সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে ‘আগামী বিশ্বকে’ নেতৃত্ব দিতে এশিয়ার দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এখানে প্রাপ্ত এক বার্তায় বলা হয়েছে, তুরস্কের আন্তলিয়ায় আয়োজিত দ্বিতীয় আন্তলিয়া ডিপ্লোমেসি ফোরামে ‘এশিয়া এনিউ: ফর সাসটেইনেবল রিজিওনাল গ্রোথ’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য প্রদানকালে এ আহ্বান জানান।
উচ্চ পর্যায়ের এই গোলটেবিলে এশিয়ার আরো কয়েকটি দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীরাও যোগ দেন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও সুযোগ গ্রহণে নেতৃত্বের ভূমিকা পালনের জন্য এশীয় দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান। বিশ্বে সাম্প্রতিক বিভিন্ন সংঘাতের কথা তুলে ধরে ড. মোমেন গুরুত্ব দিয়ে বলেন, আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে একটি টেকসই ও বাসযোগ্য বিশ্ব উপহার দেয়ার জন্য পারস্পারিক সহনশীলতা ও সহানুভূতি অতি জরুরি।
রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১১ লাখ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যূত মিয়ানমারের নাগরিককে আশ্রয় দেয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী সিদ্ধান্ত। তিনি এই আঞ্চলিক সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা প্রদানের ওপর জোর দেন।
ড. মোমেন পুনরুল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশ একটি সাউথ-সাউথ ফোরাম অব ফরেন মিনিস্টার্স এর জন্য একটি প্রস্তাব দিয়েছে, যা উন্নয়নশীল দেশগুলোর অভিজ্ঞতা বিনিময় করবে ও অর্থনৈতিক ইস্যুগুলো তুলে ধরার জন্য সর্বোত্তম উপায় আয়ত্ত করবে। তিনি সকল দেশের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে সবুজ প্রযুক্তি নিশ্চিতের গুরুত্ব এবং লাভজনক নিয়োগ নিশ্চিতের জন্য বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
ড. মোমেন, কোভিড-১৯ এর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা ও আগামী দুই দশকের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশেগুলোর কাতারে নিয়ে যেতে সরকার কিভাবে তার নীতিগুলো বাস্তবায়ন করছে তা বর্ণনা করেন।
ফোরাম বৈঠকের ফাঁকে বাংলাদেশী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুৎ কাভুসোগলুর একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠককালে, দুই পররাষ্ট্র মন্ত্রীর মধ্যে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানসহ বিভিন্ন পারস্পারিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়।