লিথুয়ানিয়া তাদের দেশের ভেতর দিয়ে রুশ মূল ভূখন্ড থেকে রাশিয়ার বিচ্ছিন্ন ভূখন্ড কালিনিনগ্রাদে রেল পরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর রাশিয়া বাল্টিক দেশটিকে এই সিদ্ধান্তের জন্য ‘গুরুতর’ পরিণতি ভোগ করার হুমকি দিয়েছে।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে কৌশলগত দনবাস এলাকার নিয়ন্ত্রণের পর মস্কো এই গুমকি দিয়েছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের চার মাসের মাথায় লিথুয়ানিয়া নিয়ে ইউরোপের সঙ্গে রাশিয়ার নতুন এই উত্তেজনা তৈরি হলো।
ইউক্রেনে জার্মান অত্যাধুনিক অস্ত্রের সরবরাহ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানের জন্য কিয়েভের প্রার্থিতা সম্পর্কে একটি আসন্ন সিদ্ধান্ত নিয়ে পশ্চিম ও মস্কোর বিরোধের মধ্যে লিথুয়ানিয়া নিয়ে বিরোধ আরো উত্তেজনা বাড়বে বলে হুমকি দিয়েছে রাশিয়া।
ক্রেমলিনের সৈন্যরা এরই মধ্যে দনবাসে অবস্থান নিয়েছে। এর ফলে সাম্প্রতিক সংঘর্ষে সম্মুখ অবস্থান হামলায় শিল্প শহর লিসিচানস্কে ‘ধ্বংসস্তুপে’ পরিণত হয়েছে, এ কথা উল্লেখ করে অঞ্চলটির গভর্ণর নিশ্চিত করে বলেছেন, তোশকিভকার গ্রামগুলোর ফ্রন্টলাইন দখলে নিয়েছে।
গভণর্র সের্গেই গেইডে বলেছেন, লুগানস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের প্রতিটি শহর ও গ্রামে ‘প্রায় বিরতিহীন’ গোলাবর্ষণ চলছে।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সদস্য লিথুয়ানিয়া সাথে মঙ্গলবার থেকে বাকযুদ্ধ বৃদ্ধি পেয়েছে। মস্কো, লিথুয়ানিয়া এবং পোল্যান্ডের সীমান্তবর্তী রাশিয়ার কালিনিনগ্রাদ ছিটমহল থেকে রেল যোগাযোগের উপর ভিলনিয়াসের বিধিনিষেধের জন্য ‘গুরুতর পরিণতির’ ঘোষণা দিয়েছে ক্রেমলিন।
লিথুয়ানিয়া বলেছে, তারা কেবল মস্কোর উপর ইইউ’র নিষেধাজ্ঞা মেনে চলছে, তবে রাশিয়া এই সংঘাত বাড়ানোর জন্য ব্রাসেলসকে দায়ী করেছে।
রাশিয়া ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে। এর পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় বলেছে লিথুয়ানিয়ার পদক্ষেপ ‘ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রাসঙ্গিক আইনি ও রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা লংঘন করেছে।’
কালিনিনগ্রাদে এক আঞ্চলিক নিরাপত্তা সভায় নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান নিকোলাই পাত্রুশেভ বলেছেন, ‘রাশিয়া অবশ্যই এই ধরণের শত্রুতামূলক পদক্ষেপের জবাব দেবে।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটোর মিত্র হিসেবে লিথুয়ানিয়ার প্রতি তার প্রতিশ্রুতি স্পষ্ট করে বলেছে, তারা ন্যাটোর কোন সদস্য দেশের বিরুদ্ধে আক্রমণকে সবার ওপর আক্রমণ বলে মনে করে।
পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস ওয়াশিংটনে সাংবাদকদের বলেন, ‘আমরা আমাদের ন্যাটো মিত্রদের পাশে আছি এবং আমরা লিথুয়ানিয়ার পাশে আছি।’