লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ক্ষেত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং সম্ভাবনাময় খাত। এ খাতকে রফতানিমুখী করতে সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পকে ‘বর্ষ পণ্য-২০২০’ বা ইয়ার অফ দি প্রোডাক্ট-২০২০ ঘোষণা করেছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের অভ্যন্তরে বিশাল বাজার এবং বিদেশে এ পণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে। অভ্যন্তরিন চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এ শিল্প রপ্তানি মুখী হলে অনেক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। দেশের রপ্তানি পণ্য সংখ্যা বাড়ানোর জন্য লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, আইসিটি, প্লাষ্টিক, কৃষি এবং লেদার খাতকে রপ্তানি সক্ষম করে গড়ে তোলার জন্য বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় এক্সপোর্ট কমপিটিটিভনেস ফর জবস (ইসিফোরজে) নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
এ খাতের উদ্যোক্তাদের পরামর্শ নিয়ে সরকার পরিকল্পিত ভাবে এগিয়ে যেতে চায়। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে তাল মিলিয়ে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন হরা হচ্ছে। এজন্য এ খাতের ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা এবং উদ্যোগ প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, সুনির্দিষ্ট ও কার্যকরী দক্ষতা সম্পন্ন কর্মী বাহিনী তৈরির মাধ্যমে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। নতুন নতুন পণ্য উৎপাদন এবং পণ্য বহুমুখী করণের ফলে রপ্তানি বাজার সম্প্রসারিত হবে। এ শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ, এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন, অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) এবং ইসিফোরজে প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক, মো. হাফিজুর রহমান।