দেশে মহামারি করোনার সংক্রমণ রোধে কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে পুলিশ, বিজিবির পাশাপাশি সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, সংক্রমণ রোধে এক সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউন দেওয়া হয়েছে। কঠোর লকডাউনে সব সরকারি-বেসরকারি অফিস ও গণপরিবহন বন্ধ থাকবে।
তবে অর্থবছর শেষ হওয়ায় কিছু অফিস খোলা থাকবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের অর্থবছর শেষ হচ্ছে। অ্যাকাউন্ট সেকশন, এনবিআর রিলেটেড অফিসগুলো সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে।
তিনি জানান, এবারের লকডাউনে পুলিশ ও বিজিবির পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীও মাঠে থাকবে। বিশেষজ্ঞরাও সেনাবাহিনী নামানোর জন্য বলেছেন। এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে জানানো হবে।
সরকারের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, আপাতত এক সপ্তাহ এবং পরে আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হবে। এভাবে ১৪ দিন দেখে কঠোরভাবে লকডাউন বাস্তবায়ন শেষে সংক্রমণ কমিয়ে ঈদের সময়টায় শিথিল করা হতে পারে। তা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে।
এদিকে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় সারাদেশে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ চলছে। চলতি বছর করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ঢিলেঢালা লকডাউন হলেও সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ায় ১৪ এপ্রিল থেকে ‘কঠোর লকডাউন‘ ঘোষণা দেয় সরকার।
পরে সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। তবে দূরপাল্লার বাস, লঞ্চ এবং ট্রেন চলাচল রোজার ঈদ পর্যন্ত বন্ধ ছিল। পরে ২৪ মে থেকে গণপরিবহন চলার অনুমতি দেওয়া হয়। একই সঙ্গে হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো আসন সংখ্যার অর্ধেক বসিয়ে খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়।