রোববার রাশিয়া সফর শেষে দেশের পথে রওনা হয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। তার এই ৬ দিনের সফর পাশ্চাত্যের সাথে দ্বন্দ্বে লিপ্ত এই দুই দেশের মধ্যে অস্ত্র স্থানান্তরের সম্ভাব্য চুক্তি নিয়ে বৈশ্বিক উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।
রাশিয়ার একেবারে পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত প্রিমোরিয়ে অঞ্চল থেকে কিম তার নিজস্ব অস্ত্র-সজ্জিত ট্রেনে চেপে দেশের উদ্দেশে রওনা হন। রুশ রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম রিয়া জানিয়েছে, এর আগে কিমের উদ্দেশে রেল স্টেশনে বিদায়ী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রায় চার বছর পর প্রথম বিদেশ সফরে কিম গত মঙ্গলবার রাশিয়ায় প্রবেশ করেন। এরপর তিনি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে দেখা করেন এবং গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও প্রযুক্তি স্থাপনা পরিদর্শন করেন। রোববার দিনের শুরুতে তাকে হালকা মেজাজে দেখা যায়। এ সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয় সফর করেন ও একটি রুশ অ্যাকুরিয়ামে সিন্ধুঘোটকের প্রদর্শনী উপভোগ করেন।
এ সপ্তাহে সামরিক ও প্রযুক্তি স্থাপনায় কিমের পরিদর্শন থেকে এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যে তিনি এসব উপকরণ রাশিয়া থেকে সংগ্রহ করতে চান। খুব সম্ভবত বিনিময়ে তিনি পুতিনকে গোলাবারুদ সরবরাহ করবেন। ইউক্রেন যুদ্ধের দীর্ঘমেয়াদী ও চলতি ধরনের কারণে রাশিয়ার গোলাবারুদের মজুদ কমছে, যা তারা পূরণ করতে চাইছে।
পুতিনের সাথে কিমের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় রাশিয়ার মূল মহাকাশকেন্দ্রে। এই অবস্থান নির্বাচনের মাধ্যমে কিমের মহাকাশ-ভিত্তিক গোয়েন্দা কার্যক্রমে সহায়ক প্রযুক্তি ও ক্ষেপণাস্ত্রের মালিকানা পেতে রুশ সহায়তা লাভের আকাঙ্ক্ষার প্রকাশ ঘটেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই দুই দেশের সম্ভাব্য সামরিক সহযোগিতার মধ্যে থাকতে পারে উত্তর কোরিয়ার পিছিয়ে থাকা বিমানবাহিনীর আধুনিকায়ন, যা আশির দশকে সোভিয়েত ইউনিয়নের পাঠানো যুদ্ধবিমান নির্ভর।
সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা