আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, একটা কথা মনে রাখবেন, ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যাকে এতিম করেছে যে বুলেট, সেই বুলেট বেগম খালেদা জিয়াকেও বিধবা করেছে। এটা বিশ্বাসঘাতকতার পরিণতি। ইতিহাস কোনো স্বৈরাচারী প্রভুর রক্তচক্ষু ভয় করে না। ইতিহাসের আদালতের বিচার থেকে কেউই রক্ষা পাবে না। মঙ্গলবার দুপুরে নোয়াখালী শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে অনুষ্ঠিত নোয়াখালী পৌরসভা ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আদালতের বিচারের রায় থেকে থেকে কেউ রক্ষা পাবেন না। অনেকেরই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। বিদেশে যাঁরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাঁদের যে দণ্ড, সেটিও কার্যকর করা হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকে জাতির দুর্ভাগ্য, ১৯৭৫ সালে চোখের পলকে ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। খন্দকার মোশতাক পলাশীর মীরজাফর। পলাশীর সেনাপতি লতিফ আর বাংলাদেশের সেনাপতি জিয়াউর রহমান জড়িত না থাকলে খুনিচক্র তাঁকে (বঙ্গবন্ধু) হত্যা করার দুঃসাহস পেত বলে আমি মনে করি না। ইতিহাস বড়ই নির্মম। বাঁচতে পারেনি জেনারেল জিয়াউর রহমানও।’ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতা-কর্মীরা ষড়যন্ত্র করছেন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, ‘একটা কথা মনে রাখবেন। আমরা কাজ করে এর জবাব দেব। জনগণ আমাদের সঙ্গে আছেন।’ আওয়ামী লীগের নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, মুজিব কোট পরলেই মুজিব সৈনিক হওয়া যায় না। মুজিব কোট খুনি খন্দকার মোশতাকও পরেছে। ৭৫-এর সেই বিশ্বাস ঘাতকেরা পরেছে। মুজিব সৈনিক হতে হলে মুজিবের আদর্শের সৈনিক হতে হবে। নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে কাদের বলেন, ‘রাজনীতি এক দিনের ব্যাপার নয়। এক বছর কয়েক বছরেরও ব্যাপার নয়। নোয়াখালীতে আমি আর বিভেদ দেখতে চাই না। ক্ষমা করার উদারতা আমার আছে। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে এ দেশ এত দিনেও স্বাধীন হতো কি না সন্দেহ আছে। মহান আল্লাহ পাক বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্যই বঙ্গবন্ধুকে পাঠিয়েছেন। আর মুক্তির জন্য পাঠিয়েছেন শেখ হাসিনাকে। একজন স্বাধীনতার জন্য, আরেকজন মুক্তির জন্য। আমাদের মুক্তির সংগ্রামের অসীম সাহসী কাণ্ডারি শেখ হাসিনা।’ নোয়াখালী পৌরসভা আওয়ামী লীগের বিদায়ী কমিটির সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টুর সভাপতিত্বে সম্মেলন সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান। এতে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী, যুগ্ম-আহ্বায়ক শিহাব উদ্দিন শাহীন, সহিদ উল্যাহ খান সোহেল প্রমুখ