গাজায় যুদ্ধবিরতি না বাড়ার জন্য হামাসকে দায়ী করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তাঁর দাবি, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি থেকে ‘সরে’ গেছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) দুবাইয়ে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
গাজায় গত ২৪ নভেম্বর শুরু হওয়া চার দিনের যুদ্ধবিরতি দুই দফা বাড়িয়ে সাত দিন করা হয়। মেয়াদ বাড়াতে আন্তর্জাতিক চাপ ও হামাসের পক্ষ থেকে নতুন করে প্রস্তাব দেওয়া হলেও রাজি হয়নি ইসরায়েল।
ইসরায়েল সেনাবাহিনী গতকাল শুক্রবার দাবি করেছে, ‘হামাস যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করেছে। পাশাপাশি তারা ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। পরে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে আবারও হামলা শুরু করেছে।’
ব্লিঙ্কেনও অভিন্ন দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘কেন বিরতি শেষ হয়েছে, তা বোঝাও গুরুত্বপূর্ণ। এটি হামাসের কারণে শেষ হয়েছে। হামাস তাদের প্রতিশ্রুতি প্রত্যাহার করেছে। প্রকৃতপক্ষে, বিরতি শেষ হওয়ার আগে এটি জেরুজালেমে একটি নৃশংস সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এতে তিনজন নিহত হন, মার্কিনসহ অন্যরা আহত হন। বিরতি শেষ হওয়ার আগেই এটি রকেট নিক্ষেপ শুরু করে। আমি যেমনটা বলেছি, সুনির্দিষ্ট কিছু জিম্মি মুক্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে করা প্রতিশ্রুতি থেকে তারা সরে গেছে।’
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই অঞ্চলে শান্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির দিকে মনোনিবেশ করছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার পশ্চিম তীরের রামাল্লায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বৈঠক করেন ব্লিঙ্কেন। হাসাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সংঘাত শুরুর পর এটি ছিল মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দ্বিতীয় রামাল্লা সফর।
এদিকে সাময়িক যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পরপরই ফিলিস্তিনের গাজায় আবার হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। গতকাল স্থানীয় সময় সকালে এ হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। আল-জাজিরার খবরে গাজার স্বাস্থ্যবিষয়ক কর্মকর্তাদের বরাতে জানানো হয়েছে, হামলায় ১৮৪ ফিলিস্তিন নিহত হয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্যবিষয়ক কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছেন ৫৮৯ জন। কমপক্ষে ২০টি ঘরবাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে।