যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৭ লাখ ছাড়িয়েছে। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের টালি বলছে, ২০২০ সালে মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ৭ লাখ ১৮ হাজার ৯৮৩ জন।
শনিবার এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহে প্রতিদিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত হয়ে গড়ে মারা গেছেন ২ হাজারেরও বেশি মানুষ, আক্রান্ত হয়েছেন গড়ে ১ লাখ ১৭ হাজার ৬২৫ জন। চলতি বছর জানুয়ারিতে যখন দেশটিতে করোনা সংক্রমণ সর্বোচ্চ মাত্রায় (পিক) ছিল, তার চেয়েও এই হার ৬০ শতাংশ বেশি।
বিশ্বে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২৩ কোটি ৫০ লাখ ৩৮ হাজার ৪৭৫ জন এবং এ রোগে মারা গেছেন মোট ৪৮ লাখ ৫০ হাজার ৬২ জন। ২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্ত ও মৃতের হিসেবে বিশ্বের দেশসমূহের মধ্যে শীর্ষে অবস্থান করছে যুক্তরাষ্ট্র।
রয়টার্সের টালি বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, বর্তমানে বিশ্বে প্রতিদিন যত মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন, তার ১৯ শতাংশ এবং যত জন এ রোগে মারা যাচ্ছেন তার ১৪ শতাংশই যুক্তরাষ্ট্রে ঘটছে।
চলতি বছর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির পর মার্চ থেকে আগস্ট পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যায় নিম্নমূখি প্রবণতা দেখা যাচ্ছিল, কিন্তু এই ভাইরাসের অতিসংক্রামক ধরন ডেল্টার প্রভাবে সেপ্টেম্বর থেকে ফের সেখানে বাড়তে শুরু করে এ রোগে আক্রান্ত রোগী ও মৃতের সংখ্যা।
এদিকে, জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের পদে আসীন হওয়ার পর দেশটিতে গণটিকাদান কর্মসূচিতে বেশ গতি এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থা সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) তথ্য অনুযায়ী, দেশটির মোট প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের ৫৬ শতাংশ টিকার দুই ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন এবং টিকার অন্তত একটি ডোজ নিয়েছেন প্রায় ৬৫ শতাংশ নাগরিক।
পাশাপাশি, সংক্রমণের ঝুঁকি যাদের বেশি, তাদেরকে গত সপ্তাহ থেকে টিকার তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ দিচ্ছে মার্কিন সরকার। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিজে গত সোমবার করোনা টিকার বুস্টার ডোজ নিয়েছেন।
কিন্তু, তারপরও যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না করোনায় সংক্রমণ-মৃত্যুর উচ্চহার।