বড়দিনের আগে করোনা ভাইরাস ওমিক্রন সংক্রমন বিস্তার রোধের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপের বিষয়ে বিরোধিতা সত্ত্বেও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সোমবার বিধিনিষেধ কঠোর করার জন্য চাপের সম্মুখীন হয়েছেন।
যুক্তরাজ্যে রোববার ৮২,৮৮৬ জনের দেহে সংক্রমনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। লন্ডনে সংক্রমণের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ওমিক্রন আক্রান্ত ১০৪ জন হাসপাতালে ভর্তি এবং ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
যুক্তরাজ্য হচ্ছে ইউরোপে করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ দেশ যেখানে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৪৭ হাজার ১২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
যুক্তরাজ্য সরকার কোভিড পাস বহন ও মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার মতো ব্যবস্থা নিয়েছে এবং ২৮ মিলিয়নেরও বেশি লোককে তৃতীয় ডোজ টিকা দিয়েছে।
জনসন গত বছর বড়দিনের প্রাক্কালে সামাজিক মেলামেশার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। তবে তিনি এ বছর বড়দিনের আগে অনুরূপ বিধিনিষেধ আরোপের ক্ষেত্রে তীব্র রাজনৈতিক চাপের মুখে পড়েছেন।
গত সপ্তাহে, তার নিজের দলের প্রায় ১০০ জন সংসদ সদস্য কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের বিরোধিতা করেন।
ইউরোপীয় মূল ভূখন্ডে ব্রিটেনের নিকটতম প্রতিবেশীদের মতো বৃটেনে এখনও সামাজিক মেলামেশা সীমাবদ্ধ রাখার বিষয়ে কোন সরকারি নির্দেশনা নেই।
ডেইলি টেলিগ্রাফ সোমবার জানিয়েছে, বিধিনিষেধ কড়াকড়ি করার সম্ভাবনার প্রেক্ষিতে মন্ত্রীদের মধ্যে “উত্তপ্ত বিতর্ক” হয়েছে।
টাইমস জানিয়েছে, ১০ জন মন্ত্রী বিধিনিষেধ আরোপের পক্ষে থাকা বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টাদের নতুন মডেলের যথার্থতার প্রশ্ন তুলে বিবাদ করেছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ রোববার বলেছেন, তিনি নতুন ব্যবস্থা গ্রহনের সম্ভাবনা নাকচ করে দিচ্ছেন না।
তবে বিচার সচিব ডমিনিক রাব বলেছেন, ভ্যাকসিনের নেয়ার ফলে আমরা এ বছর প্রিয়জনের সাথে বড়দিন উদযাপনের ক্ষেত্রে আরও ভাল অবস্থানে আছি।”