ম্যানচেস্টার সিটিকে হতাশায় ডুবিয়ে নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোপসেরার শিরোপা ঘরে তুললো চেলসি। শনিবার অল ইংলিশ ফাইনালে ১-০ গোলে জিতেছে চেলসি।
চেলসির রক্ষণভাগ ছিল দুর্ভেদ্য। রায়াদ মাহরেজ, কেভিন ডি ব্রুয়েনরা কিংবা পরিবর্তিতে বিকল্প হিসেবে মাঠে নামা গ্যাব্রিয়েল হেসুস, সার্জিও আগুয়েরোরা প্রতিরক্ষামূলক দেয়াল ভাঙতেই পারেননি। আর অন্য দিকে ম্যানসিটির রক্ষণ ম্যাচের ৩৯ মিনিটে আরো দুর্বল হয়ে যায়। দলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার থিয়াগো সিলভা চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন। চেলসি সুযোগটি ভালো ভাবেই ব্যবহার করেছিল।
৪৩ মিনিটে নিজেদের অর্ধ থেকে পাস বাড়ান মেসন মাউন্ট। সিটি রক্ষণকে ছত্রখান করে যা গিয়ে পড়ে কাই হ্যাভার্টজের পায়ে, গোলরক্ষক এডারসনকে স্টেপওভার দিয়ে বোকা বানিয়ে সহজ এক গোল করেন তিনি। ম্যাচের বাকি সময়টা থিয়াগো সিলভার অভাব বুঝতেই দিলেন না সিজার অ্যাজপিলিকুয়েতা, আন্দ্রেস ক্রিস্টেনসেনরা।
নিজেদের জালে আর কোনো বল জড়াতে দেননি। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। কারণ চেলসির দুর্ভেদ্য প্রতিরক্ষামূলক দেয়াল অতিক্রম করে সমতায় ফেরাতে পারেননি সিটির স্ট্রাইকাররা। গোল পেতে মরিয়া ম্যানসিটি ৭৭ মিনিটে আগুয়েরো মাঠে নামায়। তিনিও ব্যর্থ হয়েছেন। গোল না পেলেও মাঠে দুর্দান্ত খেলেছেন এনগোলো কন্তে। সারা মাঠজুড়ে ম্যানসিটিকে নাকানিচুবানি খাইয়ে ছেড়েছেন।
মাহরেজ ৯০তম মিনিটে দুর্দান্ত এক শট নেন। কিন্তু অল্পের জন্য জালে বল ঢোকাতে পারেননি। অতিরিক্ত ৭ মিনিটেও সমতায় ফিরতে পারেনি সিটি। সবশেষ হ্যাভার্তজের ওই গোলেই নির্ধারণ হয় শিরোপা। ১-০ গোলের বিজয় নিয়ে উৎসবে মেতে ওঠে চেলসি।