মুজিববর্ষে ভূমিহীন-গৃহহীন সব অসহায় মানুষকে নতুন ঘর উপহার দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন তার আওতায় আজ দ্বিতীয় দফায় ৫৩ হাজার ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর উপহার দেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে রবিবার (২০ জুন) দ্বিতীয় ধাপে ভূমিহীন, গৃহহীন এসব পরিবারকে বিনামূল্যে দুই শতক জমিসহ সেমি পাকা ঘর প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন। ডিসেম্বরের মধ্যে আরো ১ লাখ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে বিনামূল্যে জমিসহ ঘর প্রদানের পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় দ্বিতীয় পর্যায়ে এসব ঘর দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে মাঠ প্রশাসন সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
মুজিববর্ষে কেউ গৃহ ও ভূমিহীন থাকবে না’- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই ঘোষণা বাস্তবায়নে প্রথম পর্যায়ে গত ২৩ জানুয়ারি ২ শতাংশ জমির সঙ্গে ঘর পেয়েছেন সারা দেশের ভূমি ও গৃহহীন প্রায় ৭০ হাজার পরিবার। একসঙ্গে এত মানুষকে বিনামূল্যে বাড়ি-ঘর দেওয়ার ঘটনা পৃথিবীতে নজিরবিহীন। মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে জমি ও ঘর উপহার দিয়ে স্থায়ী ঠিকানা গড়ে দেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করে সরকার।
উপকারভোগীদের মধ্যে যাদের জমি আছে তারা শুধু ঘর পাবে। যাদের জমি নেই তারা দুই শতাংশ জমি পাবে। দুই কক্ষবিশিষ্ট প্রতিটি ঘর তৈরিতে খরচ হচ্ছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। সরকারের নির্ধারিত একই নক্সায় হচ্ছে এসব ঘর। রান্নাঘর, সংযুক্ত টয়লেটের পাশাপাশি টিউবওয়েল ও বিদ্যুত সংযোগও দেয়া হচ্ছে।
এ সকল ভূমিহীন, গৃহহীন ও ছিন্নমূল, অসহায়, আশ্রয়হীন মানুষকে শুধু পাকাবাড়িই দেয়া হচ্ছে না, সঙ্গে সঙ্গে স্বামী ও স্ত্রী উভয়ের যৌথ নামে জমির মালিকানাসহ সারাজীবনের জন্য একটি স্থায়ী ঠিকানা দেয়া হচ্ছে। জমির মালিকানা প্রদানের মাধ্যমে তাদের আর্থ-সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি পাচ্ছে, জীবনযাত্রায় মানের পরিবর্তন এসেছে। হচ্ছে নারীর ক্ষমতায়নও। ধর্মবর্ণ, দলমত নির্বিশেষে মানবিক দিক বিবেচনায় ভূমিহীন-গৃহহীন-ছিন্নমূল, অসহায় মানুষজনকে সকল কিছুর ব্যবস্থা করে দেয়া হচ্ছে। এটি জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিকতা ও মহানুভবতার জন্যই সম্ভব হয়েছে।