দেশের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ আর টেস্ট ক্রিকেট খেলবেন না। টেস্ট ক্রিকেট থেকে আনুষ্ঠানিক অবসরের ঘোষণা দিয়ে ১২ বছরের ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন মাহমুদুল্লাহ
তবে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে খেলা চালিয়ে যাবেন সংক্ষিপ্ত ভার্সনের অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ।
গত জুলাইয়ে হারারেতে ক্যারিয়ারের ৫০তম ও সর্বশেষ টেস্ট খেলেন মাহমুদুল্লাহ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঐ ম্যাচের প্রথম ইনিংসে অনবদ্য ১৫০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। সেটি ছিলো মাহমুদুল্লাহর পঞ্চম টেস্ট সেঞ্চুরি। তার ব্যাটিং দৃঢ়তায় ২২০ রানের বড় ব্যবধানে টেস্টটি জিতেছিলো বাংলাদেশ। ম্যাচ সেরাও হয়েছিলেন মাহমুদুল্লাহ।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস খেলার পর ড্রেসিংরুমে সতীর্থদের মাহমুদুল্লাহ টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের কথা জানিয়েছিলেন । যদিও দিনের খেলা শেষে এ বিষয়ে কথা বলেননি তিনি। তবে টেস্টের শেষ দিনে সতীর্থদের কাছ থেকে পাওয়া গার্ড অব অনার থেকেই মাহমুদুল্লাহর অবসর মোটামুটি নিশ্চিত হয়েছিল।
টেস্টে ৩৩ দশমিক ৪৯ গড়ে ২৯১৪ রান ও ৪৩ উইকেট নেন মাহমুদুল্লাহ। লংগার ভার্সনে বাংলাদেশকে ছয় টেস্টে নেতৃত্বও দিয়েছেন তিনি।
অবসরের আনুষ্ঠানিক ঘোষনা দিয়ে এক বিবৃতিতে মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘যে ফরম্যাটে আমি দীর্ঘদিন খেলেছি, সেটি ছেড়ে দেয়া সহজ নয়। আমি সব সময়ই আরো ভাল কথা ভেবেছিএবং আমি বিশ্বাস করি এটাই আমার টেস্ট ক্যারিয়ার শেষ করার সঠিক সময়।’
তিনি আরো বললেন, ‘আমি টেস্ট দলে ফিরে আসার পর আমাকে সমর্থন করার জন্য বিসিবি সভাপতির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। আমাকে সবসময় উৎসাহিত করার জন্য এবং আমার দক্ষতার ওপর বিশ্বাস করার জন্য আমার সতীর্থদের ও সাপোর্টিং স্টাফদেরও ধন্যবাদ জানাই। বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট ক্রিকেট খেলতে পারাটা একটা পরম সম্মান ও সৌভাগ্যের বিষয় এবং অনেক স্মৃতি আমার মনে থাকবে।’
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে নিজেকে উজার করে দেয়ার ইঙ্গিত দিলেন মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘যদিও আমি টেস্ট থেকে অবসর নিচ্ছি, তবে আমি আন্তর্জাতিক ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টিতে খেলবো এবং সত্যিই আমার দেশের হয়ে সাদা বলের ক্রিকেটে নিজের সেরাটা দেয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেস্টা অব্যাহত রাখবো।’