২৫৬ রান তাড়া করতে নেমে প্রথম বলেই সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস। দ্বিতীয় বলে মাঠে নামেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
তারপরও ২৩ রানে টিম টাইগার্স হারায় তিন উইকেট। এমন চাপের ভেতরেও মাথা ঠাণ্ডা রাখেন শান্ত।
শেষ অবধি অপরাজিত থেকে ১২৯ বলে ১২২ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন। এই পথে দুটি বড় জুটি গড়েন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে। রিয়াদের সঙ্গে ৬২ বলে ৬৯ রানের জুটিতে বিপদ সামলান শান্ত। পরে মুশফিকের সঙ্গে ১৭৫ বলে ১৬৫ রানের জুটিতে নিশ্চিত হয় জয়। ম্যাচ শেষেও দুজনকে কৃতিত্ব দেন অধিনায়ক।
শান্ত বলেন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ যেভাবে উনার ইনিংস শুরু করেছেন, সেটা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। এরপর মুশফিক ভাই উনার অভিজ্ঞতা দেখিয়েছেন- আমরা সবাই জানি উনার সামর্থ্য কেমন। আশা করি উনি উনার ফর্মটা ধরে রাখবেন।
২৩ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলার পর কী পরিকল্পনা ছিল? উত্তরে শান্ত বলেন, আমরা জানতাম নতুন বলটা কঠিন হবে। এজন্য আমি স্কিল কাজে লাগিয়ে ব্যাটিং করেছি ও কিছুটা সময় নিয়েছি। পরের দিকে কুয়াশার জন্য উইকেট বেশ সহজ হয়ে গিয়েছিল।
বোলিংয়েও শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। কোনো উইকেট না হারিয়েই ৭১ রান করে ফেলেছিল শ্রীলঙ্কা। পরে ওখান থেকে ৩ উইকেট নিয়ে মোড় ঘুরিয়ে দেন তানজিম হাসান সাকিব। শুরুতে ভালো না করতে পারা তাসকিন-শরিফুলও তিন উইকেট করে নেন।
এ নিয়ে অধিনায়ক বলেন, আমি সব বোলারকেই বিশ্বাস করি। আমি তাসকিন ও শরিফুলকে দিয়ে শুরু করেছিলাম, যদিও এ ধরনের উইকেট তাদের জন্য বেশ কঠিন। কিন্তু তারা যেভাবে ফিরে এসেছে, তাতে আমি অনেক খুশি।a