অগ্রবর্তী সময়ের ককপিট
বাংলাদেশ রাজনীতি

মানুষ পুড়িয়ে মারলে একটাকেও ছাড়ব না: প্রধানমন্ত্রী

বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আন্দোলনের নামে আবার মানুষ পুড়িয়ে মারতে চাইলে তাদের একটাকেও ছাড়ব না। আমরা সহ্য করেছি, এটাকে অনেকে দুর্বলতা মনে করে। এটা আমাদের দুর্বলতা নয়।’
আজ শনিবার বিকেলে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহিলা আওয়ামী লীগের ষষ্ঠ ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা বলেন, নারীদের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। গৃহহীনদের ঘরসহ বিভিন্ন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। বিএনপি ক্ষমতা থাকতে কিছুই করেনি। ধর্ষণসহ নারীর বিরুদ্ধে অত্যাচার-নির্যাতন করেছে। ২০২১ সালে বিএনপি–জামায়াত ক্ষমতায় এসে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেভাবে ১৯৭১ সালে নির্যাতন করেছে, সেভাবেই নির্যাতন চালিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যুদ্ধের ময়দানে ব্যবহৃত গ্রেনেড দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।’ বিএনপি-জামায়াতের সময় আওয়ামী লীগের ওপর যে নির্যাতন চালানো হয়েছে, তা ভুলে যাননি বলে জানান তিনি। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া খাতুন। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম। সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। মুক্তিযুদ্ধকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। উন্নয়ন-অর্জনকে বাঁচাতে হলে ক্ষমতার মঞ্চে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। এ সময় ওবায়দুল কাদের মহিলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নিয়ে নৌকা ও শেখ হাসিনার নামে স্লোগান দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখনো বিএনপির টার্গেট মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা শেখ হাসিনা নিশ্চিহ্ন করতে চায়। শেখ হাসিনার উন্নয়ন দেখে তাদের অন্তরে জ্বালা ধরেছে। তাঁকে হঠানো, নিশ্চিহ্ন করাই তাদের লক্ষ্য। এর আগে বেলা সোয়া দুইটায় পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা। ২টা ৫০ মিনিটে সম্মেলনের মঞ্চে আসেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফুল দিয়ে শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানানো হয়। সম্মেলনে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন মহিলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রোজিনা রোজি। সম্মেলন উপলক্ষে সকাল থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে মহিলা আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা সম্মেলনস্থলে আসতে শুরু করেন। সম্মেলন ঘিরে পুরো উদ্যান ও আশপাশের এলাকায় বিভিন্ন ধরনের ব্যানার, প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশীদের অনুসারীদের নানা ধরনের স্লোগান দিতে দেখা যায়। প্রসঙ্গত, মহিলা আওয়ামী লীগের ৫ম জাতীয় জাতীয় সম্মেলন হয়েছিল ২০১৭ সালের ৪ মার্চ। ওই সময় সংগঠনটির সভাপতির দায়িত্ব পান সাফিয়া খাতুন, সাধারণ সম্পাদক হন মাহমুদা বেগম। এবার তাঁদের বাদ দিয়ে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে।

 

সম্পর্কিত খবর

জাতীয় শোক দিবস পালনে স্বাস্থ্যবিধির গাইডলাইন

gmtnews

ফাইজার ভ্যাকসিন ঢাকায় পৌঁছেছে

gmtnews

যারা দেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় তাদের বর্জন করুন: তথ্যমন্ত্রী

gmtnews

মন্তব্য করুণ

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই অপ্ট আউট করতে পারেন। স্বীকার করুন বিস্তারিত