মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট সংগ্রহের ক্ষেত্রে যেসব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান চালান ইস্যু করে, তাদেরকে উৎসাহ প্রদানের জন্য পুরস্কৃত করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
তিনি বলেন,‘ শুধুমাত্র ইএফডি চালান গ্রহনকারিদের জন্যই পুরস্কার নয়, ইএফডি চালান ইস্যুকারি প্রতিষ্ঠানের জন্যও রয়েছে সম্মাননা। রাজস্ব সংগ্রহের ক্ষেত্রে তাদেরকে উৎসাহ প্রদানের জন্য আমরা এই সম্মাননা দিব।’ শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রাজস্ব ভবনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ইএফডি লটারির ড্র অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মত ভ্যাট চালান ইস্যুকারি একটি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়। ভেনাস জুয়েলার্স নামের ওই স্বর্ণ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান গঙ্গা চরন মালাকার এনবিআর চেয়ারম্যানের নিকট থেকে সম্মাননা গ্রহণ করেন।
রহমাতুল মুনিম বলেন, ভ্যাট চালান ইস্যুকারি একটি প্রতিষ্ঠানকে আজ পুরস্কৃত করা হলো। কিন্তু পরবর্তীতে ইএফডি চালান গ্রহনকারিদের মতই চালান ইস্যুকারি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হবে। স্বর্ণ চোরাচালানের বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘স্বর্ণ আমদানির বিষয়ে আমরা গত দুই বছরে নানাভাবে নীতিসহায়তা দেয়ার চেষ্টা করেছি, যাতে স্বর্ণ আমদানি হয়। স্মাগলিং যেন বন্ধ হয়। তারপরও কেন জানি স্বর্ণ আমদানিতে তেমন সাড়া দেখা যাচ্ছে না। ’ স্বর্ণের বড় বড় চালান ধরা পড়ার বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গোল্ড স্মাগলিংটাকে ঠেকানো, এটা আমাদের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ স্বর্ণ চোরচালানের সঙ্গে শুধুমাত্র দেশের স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা জড়িত নয়, গোল্ড স্মাগলিংয়ের নানাবিধ কারণ আছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, তবে রাজস্ব ভারের কারণে স্মাগলিংয়ের প্রবণতা হচ্ছে কিনা সেটাকে আমরা দেখার চেষ্টা করছি। আগামী বাজেটে স্বর্ণ আমদানি সহজ করতে আরও কিছু করা যায় কিনা সে বিষয়ে সরকার চিন্তা করবে বলে জানান তিনি।
তিনি ইএফডি মেশিনের মাধ্যমে ভ্যাট সংগ্রহের সময় পণ্যের মূল্যের সঙ্গে সমন্বয় করে ভ্যাট নেওয়ার আহবান জানান। এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, পণ্যের মূল্যের মধ্যেই ভ্যাট দেয়া থাকবে। এরপর ক্রেতার কাছ থেকে পণ্য কেনার পর আলাদা করে ভ্যাট নেওয়া যাবে না। পণ্যটির সকল খরচ ধরে যেমন মূল্য নির্ধারণ করা হয়, তেমনিভাবেই ভ্যাটসহ মূল্য নির্ধারণ করতে হবে অর্থাৎ পণ্যের মূল্য এমনভাবে নির্ধারণ করতে হবে যাতে ক্রেতাকে আলাদা করে ভ্যাট পরিশোধ করতে না হয়।