প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশেষ চাহিদা সম্পন্নসহ ভিন্নভাবে সক্ষম লোকদের জীবন সুরক্ষিত করার জন্য তাঁর সরকার তাদের জন্য স্থায়ী বাসস্থান ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে।
গতকাল ১৫ তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমাদের ৮টি বিভাগ আছে। আমরা এই ৮টি বিভাগে প্রথমে এটি (স্থায়ী বাসস্থান ও কর্মসংস্থান) প্রতিষ্ঠা করবো এবং পর্যায়ক্রমে আমরা প্রতিটি জেলায় তৈরি করবো।’
সমাজ কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের উদ্যোগে সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারী বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ‘বলতে চাই’ এবং ‘স্মার্ট অটিজম বার্তা’ নামে দু’টি অ্যাপস উদ্বোধন করে বলেন, এগুলো অটিস্টিক ব্যক্তি, কথা বলতে সমস্যায় থাকা ব্যাক্তিদের কথা বলতে এবং অটিজম চিকিৎসায় সহায়ক হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅ্যাবিলিটি প্রোটেকশন ট্রাস্ট’র অধীনে ভিন্নভাবে সক্ষম ব্যক্তি এবং অটিজম আক্রান্তদের স্থায়ী বাসস্থান ও কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ট্রাস্টের মাধ্যমে তাদের জন্য হোস্টেল বা ডরমিটরি তৈরি করতে পারি যেখানে তাদের দেখাশোনার জন্য লোক থাকবে।’
তিনি সমাজকল্যাণ মন্ত্রীকে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের স্থায়ী বাসস্থান এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার জন্য একটি প্রকল্প গ্রহন করতে বলেন। যাদের অভিভাবকরা সমর্থন দিতে অক্ষম এমন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের নিরাপদ জীবন যাপনের জন্য এই প্রকল্প স্থায়ী বাসস্থান ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার অটিস্টিক ও ভিন্নভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের জন্য সমাজে সুন্দর ও উন্নত জীবন নিশ্চিত করতে কাজ করছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য একটি সুন্দর জীবন নিশ্চিত করতে আমরা রাষ্ট্র পরিচালনা করছি।
তিনি সকলকে বিশেষ করে ধনী ব্যক্তিদের ভিন্নভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়ানোর এবং তাদের আর্থিক সহায়তা এবং চাকুরিসহ প্রয়োজনীয় সকল সহায়তা প্রদানের আহবান জানান। যাতে তাদের জীবন অর্থবহ হয় এবং সুপ্ত মেধা বিকশিত হতে পারে।
সরকার প্রধান বলেন, দেশের সকল ধনী নাগরিকদের দায়িত্ব ভিন্নভাবে সক্ষম লোকদের যতœ নেয়া। তিনি বলেন, ‘তারা আমাদের অত্মার আত্মীয়।’
শেখ হাসিনা বলেন, অটিজমে আক্রান্ত ব্যক্তিরা তাদের জীবনকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে, কারণ তাদের অনেক প্রতিভা রয়েছে।
তাদের প্রতি আর অবহেলা না করার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে তাদের মধ্যে সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের সুযোগ করে দিতে হবে।
বিশেষ অলিম্পিকে স্বর্ণ এবং রৌপ্য বিজয়ী এবং সম্প্রতি চার দেশের বিশেষ ক্রিকেট টুর্ণামেন্টে চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা অর্জনে বাংলাদেশী ভিন্নভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের সাফল্যের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ খেলোয়াড়রাও এটা পারেন না।