ভর্তুকি কয়েক গুণ বাড়লেও প্রধানমন্ত্রী সারের দাম না বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। নেদারল্যান্ডস ও যুক্তরাজ্য সফর শেষে গতকাল বুধবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এ কথা জানান তিনি।
ডিজেলের দাম বাড়ানোর প্রভাব কৃষিতে পড়বে কি না—এই প্রশ্নে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রভাব তো অবশ্যই পড়বে, এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। এমনি আমাদের কৃষকেরা নানান সমস্যায় জর্জরিত। পিক সিজনে তারা ফসলের দাম পায় না। সে জন্য কৃষিপণ্য প্রসেসিংয়ের কথা আমরা বলছি।’
‘আমরা একটা বিষয়ে নিশ্চয়তা দিতে চাই যে, সারের দাম ২৫০, ২৩০, ২৭০ ডলার ছিল, সেটা এখন ৮০০, ৯০০ ডলার। চার গুণ বেড়েছে। আমরা সারে ৯০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিই। এটা এবার মনে হয় ২০ হাজার কোটি টাকা দিতে হবে। তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এখন পর্যন্ত আমাদের বলেছেন, উনি সারের কোনো দাম বাড়াবেন না।’
দেশের ৪০ শতাংশ সেচ মেশিন বিদ্যুতে চলে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, `ডিজেলের দাম বাড়লেও তাঁদের খুব অসুবিধা হবে না। কিন্তু ডিজেলের ক্ষেত্রে সমস্যা হবে। দেখা যাক দামের ট্রেন্ডটা তো কমের দিকে আছে, যদি কমে সরকারও ডিজেলের দাম কমাবে।’
ডিজেলে ভর্তুকি দেওয়ায় ঝামেলার কথা তুলে ধরে কৃষিমন্ত্রী বলেন, এটা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। এটা নিয়ে বিক্রি করে দেবে। সেচযন্ত্রের কথা বলে অন্য কাজে ডিজেল ব্যবহার করবে। ডিজেলে সাবসিডি দেওয়া কঠিন হবে।
তামাক চাষ বন্ধে সরকারের পরিকল্পনা নিয়ে এক প্রশ্নে রাজ্জাক বলেন, `কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে তামাক চাষে একদম উৎসাহিত করি না। আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত হলো এটাকে নিরুৎসাহিত করা। তার পরেও আমাদের এখনো কিছু মানুষ তামাক খায়। আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত পলিসি লেভেলে আমরা আস্তে আস্তে তামাক থেকে বেরিয়ে আসব। তামাক এই দেশে ফসল হিসেবে থাকবে না।’