বিশ্ব শান্তি সূচকে সাত ধাপ উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের। এ সূচকে গত বছর ৯৭তম অবস্থানে থাকলেও চলতি বছরে ২ দশমিক ০৬৮ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশ ৯১তম স্থানে উঠে এসেছে।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনিভিত্তিক আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিস (আইইপি) প্রতি বছর এই বিশ্ব শান্তি সূচক প্রকাশ করে।
শান্তি সূচকে গেল বছর দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। সামগ্রিক স্কোরে বাংলাদেশ ২.৬৮ শতাংশ উন্নতি করেছে। যা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ। সূচক নির্ধারণের যে তিনটি ডোমেইন রয়েছে সেগুলোর সবকটিতেই উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে সুরক্ষা ও নিরাপত্তায়।
প্রত্যেক বছর সহিংসতার অনুপস্থিতি অথবা সহিংসতার ভয়কে ধরে তিনটি মানদণ্ড— সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা, চলমান সংঘাত এবং সামরিকায়নের ওপর ভিত্তি করে এই সূচক তৈরি করা হয়েছে।
শান্তির এই সূচকে গত বছরের তুলনায় একেবারে সাতটি লাফ দেওয়ায় শ্রীলঙ্কাকে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কায় শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি ঘটায় এর প্রভাব পড়েছে সূচকেও। গত বছরের তুলনায় ১৯ ধাপ অবনতি ঘটায় দেশটির এবারের বৈশ্বিক অবস্থান ৯৫তম। তবে দক্ষিণ এশিয়ায় শ্রীলঙ্কা চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
অন্যদিকে, গত বছরের তুলনায় দুই ধাপ উন্নতি ঘটেছে ভারতের। এ বছর বৈশ্বিক শান্তির এই সূচকে দেশটির অবস্থান ১৩৫তম এবং দক্ষিণ এশিয়ায় পঞ্চম।
তবে দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতির সবচেয়ে উন্নতি ঘটেছে পাকিস্তানে। দেশটি গত বছরের তুলনায় দুই ধাপ উন্নতিতে বর্তমানে ১৫০তম অবস্থানে উঠে এসেছে। আর দক্ষিণ এশিয়ায় পাকিস্তানের অবস্থান ষষ্ঠ।
টানা চতুর্থবারের মতো বিশ্বের শান্তিপূর্ণ দেশের তালিকায় একেবারে তলানিতে রয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান (১৬৩তম)। দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তিপূর্ণ দেশের তালিকায় সবার ওপরে আছে ভূটান। এরপরই আছে নেপাল। তবে দেশ দুটির বৈশ্বিক সূচকে অবস্থান যথাক্রমে ২২তম এবং ৮৫তম।
নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ জীবনযাপনের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা, অর্থনৈতিক মূল্য, ট্রেন্ড ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে দেশগুলোর নেয়া পদক্ষেপের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই সূচক তৈরি করা হয়েছে।