পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমনের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের উদ্যোগে সহায়তা প্রদানের জন্য বৈদ্যুতিক যান এবং লোকোমোটিভ সংগ্রহের ক্ষেত্রে জার্মানির বিনিয়োগ চেয়েছেন।
গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে নবনিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টার বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।
জার্মানিকে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করে ড. মোমেন বাংলাদেশে জার্মান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির অফিস খোলার আমন্ত্রণ জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী তরুণ বাংলাদেশী আবেদনকারীদের স্টুডেন্ট ভিসা সহজতর করার জন্য জার্মান দূতাবাসের প্রতি আহ্বান জানান।
এসময় তারা জার্মান কোম্পানির ই-পাসপোর্ট প্রকল্প বাস্তবায়নের অগ্রগতি এবং আইটি ভিত্তিক সেবাসহ সহযোগিতার অন্যান্য সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলোর বিষয়েও মতবিনিময় করেন।
ড. মোমেন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রশ্নে জার্মানিকে সম্পৃক্ত থাকার আহ্বান জানান এবং এ যাবৎ জার্মানির সহায়তার কথা স্বীকার করেন।
মন্ত্রী প্রায় ৮ মিলিয়ন অ্যাস্ট্রাজেনিকা ভ্যাকসিন ও অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রদানের জন্য জার্মানির প্রশংসা করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রশংসা করেন।
তিনি নতুন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজকে তার দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অভিনন্দন জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বায়োরবককে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
রাষ্ট্রদূত ট্রস্টার মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীকে উদারভাবে আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান।