রিয়াল মাদ্রিদে গত জুনে যোগ দেওয়ার পর থেকে একাদশে বৃহস্পতি চলছে ইংল্যান্ডের তারকা মিডফিল্ডার জুড বেলিংহামের। গতকাল রাতে পর্তুগিজ ক্লাব ব্রাগার মাঠে রিয়ালের ২-১ গোলে জয়েও গোল পেয়েছেন বেলিংহাম। রিয়ালের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে এ নিয়ে তিন ম্যাচেই গোল পেলেন তিনি। ১৯৯৮ সালে ক্রিস্টিয়ান কারেম্বুর পর রিয়ালের হয়ে এই প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে নিজের প্রথম তিন ম্যাচেই গোল পেলেন বেলিংহাম। মাদ্রিদের ক্লাবটির হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১২ ম্যাচে তাঁর গোলসংখ্যা ১১। ‘সি’ গ্রুপে নিজেদের ৩ ম্যাচের সব কটিতে জিতে ৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে কার্লো আনচেলত্তির দল।
ঠান্ডা বৃষ্টিস্নাত এই ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে রিয়াল। ১৬ মিনিটে গোলও পেয়ে যায় মাদ্রিদের ক্লাবটি। বাঁ উইং দিয়ে দৌড়ে ব্রাগার রক্ষণ ভেঙে রদ্রিগোকে গোলটি এমনভাবে বানিয়ে দিয়েছিলেন ভিনিসিয়ুস, যেন প্লেটে খাবার তুলে দিচ্ছেন! বক্সের ভেতর প্রথম স্পর্শেই বল জালে জড়ান ভিনিসিয়ুসের জাতীয় দল সতীর্থ রদ্রিগো। ভিনিসিয়ুসের মাধ্যমেই রিয়াল বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু ব্রাগার হাইলাইন ডিফেন্সের কারণে অফসাইডের ফাঁদে পড়েছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা।
৬১ মিনিটে বেলিংহামকে দিয়ে দ্বিতীয় গোল করান ভিনিসিয়ুস। বক্সের কোনা থেকে বাঁকানো শটে গোল করেন বেলিংহাম। এর দুই মিনিট পরই আলভারো দাজালো ব্রাগার হয়ে একটি গোল পরিশোধ করেন। শেষ দিকে গোলরক্ষক কেপা আরিজাবালাগা দারুণ সেভ না করলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারত না রিয়াল। ম্যাচ শেষে রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি বলেছেন, ‘সব মিলিয়ে আমরা একটি ভালো ম্যাচই খেলেছি। তবে ওদের গোলটি ভালো লাগেনি। কারণ, তার আগে আমরা ম্যাচটা নিয়ন্ত্রণ করেছি এবং জয়টা হাতের মুঠোয় ছিল।’
একই গ্রুপ থেকে অন্য ম্যাচে ইউনিয়ন বার্লিনকে ১-০ গোলে হারিয়েছে নাপোলি। ৬৫ মিনিটে ইতালিয়ান ক্লাবটির হয়ে গোল করেন জিয়াকমো রাসপাদোরি।
ইংল্যান্ড ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের প্রয়াত কিংবদন্তি স্যার ববি চার্লটনকে শ্রদ্ধা জানাতে ওল্ড ট্রাফোর্ডে কালো আর্মব্যান্ড পরে মাঠে নেমেছিলেন হ্যারি ম্যাগুয়ার-আন্দ্রে ওনানারা। এই মৌসুমে তুমুল সমালোচনার মুখে থাকা ওনানা ও ম্যাগুয়ারই শেষ পর্যন্ত জিতিয়েছেন ইউনাইটেডকে। ৭২ মিনিটে ম্যাগুয়ারের হেডে করা গোলে এগিয়ে যায় এরিক টেন হাগের দল। কিন্তু যোগ করা সময়ের একদম শেষ মুহূর্তে স্কট ম্যাকটমিনে ফাউল করায় পেনাল্টি হজম করতে হয় ইউনাইটেডকে। ত্রাতা হয়ে দাঁড়ান গোলরক্ষক ওনানা। স্কট লারসনের নেওয়া পেনাল্টি শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দেন ক্যামেরুনের এ গোলরক্ষক। সেটা ছিল ম্যাচের শেষ শট!