বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) নাজমুল হাসান পাপনের নেতৃত্বাধীন কমিটির সময় শেষ হয়ে এসেছে। চলতি মাসে শেষ হয়ে যাবে এই কমিটির দ্বিতীয় মেয়াদ। দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার গঠনতন্ত্র অনুযায়ী মেয়াদ শেষ হওয়ার ৪৫ কার্য দিবসের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
যদিও এতো সময় নিচ্ছে না বিসিবির বর্তমান কমিটি। আগামী ৬ অক্টোবর বিসিবির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করেছে বিসিবি।
তফসিল অনুযায়ী খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ২২ সেপ্টেম্বর। ২৩ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে খসড়া ভোটার তালিকার ওপর আপত্তি গ্রহণ ও শুনানি। এদিনই ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হবে ২৪ ও ২৫ সেপ্টেম্বর।
মনোনয়নপত্র দাখিলের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই ও প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৮ সেপ্টেম্বর। কারও মনোনয়নপত্র বাতিল হলে সেটার আপিল গ্রহণ ও শুনানি ২৯ সেপ্টেম্বর।
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ও প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে ৩০ সেপ্টেম্বর। এর ছয় দিন পর ৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। নির্বাচনের পরের দিন ৭ অক্টোবর চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
নির্বাচনের জন্য পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। আইসিএবির (ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট অব বাংলাদেশ) সাবেক প্রেসিডেন্ট এম ফরহাদ হোসেনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব দিয়ে পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয় এর আগে।
সদস্যরা হলেন বাংলাদেশ সরকারের সাবেক যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক, বিসিবির আইনি পরামর্শক মুদ্দাসির হোসেন, সুপ্রিম কোর্টের এডভোকেট মোহাম্মদ একরামুল হক ও বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী।
বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিন শ্রেণি থেকে কাউন্সিলর হওয়ার কথা মোট ১৭৪ জনের। বোর্ড পরিচালক হবেন ২৫ জন। এর মধ্যে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মনোনীত পরিচালক থাকবেন ২ জন। তবে খসড়া তালিকা অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, বিসিবি নির্বাচনে ভোটার ১৭১ জন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল শিক্ষা বোর্ড ও অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব থেকে কোনো কাউন্সিলরের নাম জমা পড়েনি।