ওয়ানডে বিশ্বকাপ এলেই মিচেল স্টার্ক যেন বদলে যান। ঘরের মাঠে ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়াকে বিশ্বকাপ জেতানোর পথে নিয়েছিলেন ২৭ উইকেট। ২০১৯ বিশ্বকাপে নিয়েছিলেন ২২ উইকেট। দুই বিশ্বকাপে মাত্র ১৮ ম্যাচ খেলেই মোট ৪৯ উইকেট নিয়েছেন এই ফাস্ট বোলার।
এবার ভারত বিশ্বকাপেও আগের দুই আসরের ছন্দে ফেরার আভাস দিচ্ছেন স্টার্ক। বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতি ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তুলে নিয়েছেন হ্যাটট্রিক। যদিও প্রস্তুতি ম্যাচ হওয়ায় এই হ্যাটট্রিক রেকর্ড বইয়ে থাকছে না।
কিছুদিন ধরেই স্টার্ক কুঁচকির চোটে ভুগছিলেন। ইংল্যান্ডে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের পর অ্যাশেজের ৫টি ম্যাচের মধ্যে ৪টিতেই খেলেছিলেন তিনি। সে সফরের শেষ দিকে কাঁধে চোট পেয়েছিলেন, যদিও এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা সফর মিস করেছেন কুঁচকির চোটের কারণে। এরপর ভারত সফরেও সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডেতে খেলেননি বাঁহাতি এ পেসার। মাঠে ফেরেন রাজকোটে সিরিজের সর্বশেষ ও তৃতীয় ওয়ানডে দিয়ে।১৪.২
বৃষ্টির কারণে তিরুবনন্তপুরামে হওয়া প্রস্তুতি ম্যাচ নেমে এসেছিলে ২৩ ওভারে। ২৩ ওভারের ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাটিং করে স্টিভ স্মিথের ফিফটিতে অস্ট্রেলিয়া তুলেছিল ৭ উইকেটে ১৬৬ রান। এই রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই স্টার্কের তোপের মুখে পড়ে নেদারল্যান্ডস। স্টার্কের প্রথম শিকার হন ডাচ ওপেনার ম্যাক্স ও’ডাউড। ইনিংসের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে অস্ট্রেলিয়ার এই ফাস্ট বোলারের ইনসুইং ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ হন ম্যাক্স ও’ডাউড। পরের বলে তিন নম্বরে নামা ওয়েসলি বারেসির কাছেও স্টার্কের বোলিংয়ের কোনো উত্তর ছিল না। তিনি ফেরেন বোল্ড হয়ে।
স্টার্কের হ্যাটট্রিক পূর্ণ হয় ইনিংসের তৃতীয় ওভার ও নিজের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে। স্টার্কের ইনসুইংয়িং ইয়র্কারে বোল্ড হন অভিজ্ঞ বাস ডি লিডি। পরপর তিন উইকেট হারানোর ধাক্কায় নেদারল্যান্ডস ১৬৬ রান তাড়ায় পথ হারিয়ে ফেলে। বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগপর্যন্ত ১৪.২ ওভারে ৬ উইকেটে ৮৪ রান তোলে নেদারল্যান্ডস।