বিডিআর বিদ্রোহের ষড়যন্ত্রে বিএনপি যুক্ত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর থেকেই বিএনপি দেশ এবং সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বিডিআর বিদ্রোহ ঘটানো হয়েছিল। শনিবার বিকেলে রাজধানীর মতিঝিলে সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টারে রাঙ্গুনিয়া সমিতির মেজবান-মিলনমেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। বিডিআর বিদ্রোহের ১৪ বছর পূর্তিতে ‘বিডিআর বিদ্রোহ ছিল দেশের বিরুদ্ধে একটি গভীর ষড়যন্ত্র’—বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব ঠিকই বলেছেন, বিডিআর বিদ্রোহ ছিল দেশের বিরুদ্ধে একটি গভীর ষড়যন্ত্র এবং সেই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে বিএনপির তৎকালীন চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও বিএনপি যুক্ত ছিল বললে তাঁর কথাটি সম্পূর্ণ হতো।’ খালেদা জিয়া জেলে থেকে রাজনীতি করতে পারবেন কি না, এ প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বেগম জিয়া শাস্তিপ্রাপ্ত বন্দী হিসেবে রাজনীতি করতে পারবেন না বিধায় বিএনপি তারেক রহমানকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বানিয়েছে। হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি প্রশ্ন রাখতে চাই, বিডিআর বিদ্রোহের দিন ভোররাতে কেন বেগম জিয়া তাঁর বাড়ি ছেড়ে চলে গেলেন এবং তখন তো আমরা ক্ষমতায়, আমরা জানি, সে দিন ও তার আগের দিন বেগম জিয়া কতবার তারেক রহমানের সাথে ফোনে কথা বলেছেন। সে সব রেকর্ড আমাদের কাছে আছে। এ ঘটনার বিচারে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, তাঁদের কার্যকলাপ ও ঘটনা পরম্পরায় তাঁদের নেপথ্য ভূমিকা স্পষ্ট হলেও প্রত্যক্ষ প্রমাণের অভাবে মামলা হয়নি, ঠিক যেমন বঙ্গবন্ধু হত্যার পটভূমি রচনাকারী অনেক ষড়যন্ত্রকারীর বিরুদ্ধেও প্রত্যক্ষ প্রমাণের অভাবে এখনো মামলা করা যায়নি। খালেদা জিয়া জেলে থেকে রাজনীতি করতে পারবেন কি না, এ প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বেগম জিয়া শাস্তিপ্রাপ্ত বন্দী হিসেবে রাজনীতি করতে পারবেন না বিধায় বিএনপি তারেক রহমানকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বানিয়েছে এবং সে জন্য তারা তাদের গঠনতন্ত্রের ৭ নম্বর ধারা, যেখানে দুর্নীতির দায়ে কেউ শাস্তিপ্রাপ্ত হলে বিএনপির কমিটিতে থাকতে পারবে না বলা ছিল, সেই ধারা বাতিল করেছে।