পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আবদুল মোমেন, বাংলাদেশে আরো জাপানি বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
টোকিওতে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হায়াশি ইয়োশিমাসার সাথে আজ জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ড. মোমেন এ আমন্ত্রন জানান। প্রায় এক ঘণ্টাব্যপি অত্যন্ত সৌহার্দপূর্ন পরিবেশে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ২০২১ সালের নভেম্বরে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হায়াশি দায়িত্ব নেয়ার পর এটি ছিল তাদের প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক।
এ বছর ১০ ফেব্রুয়াারি দুই বন্ধুপ্রতীম দেশ তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপনের প্রেক্ষাপটে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন এই শুভ বার্ষিকী অনুষ্ঠান উদযাপনের জন্য আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নিতে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
জাপানের নাম বাংলাদেশের জনগনের কাছে অতি প্রিয় এবং জাপান বৃহত্তম দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বাংলাদেশে আরো জাপানি বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান। বিশেষ করে ব্লু ইকোনমি, (সুনীল অর্থনীতি), অটোমোবাইলস, আইসিটি, ফার্মাসিউটিক্যালসে, প্রকৌশল, ইলেকট্রনিক্স ইত্যাদির মতো উদীয়মান খাতে বিনিয়োগের অপার সুযোগের কথা উল্লেখ করেন।
জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রায়নের সাথে সাথে আরো জাপানি কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগে আকৃষ্ট হবে এবং দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক এগিয়ে নিতে ব্লু ইকোনমি, আইসিটি এবং ফার্মাসিউটিক্যালসে খাতে আরও সহযোগিতা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। বাংলাদেশের তরুণ জনগোষ্ঠী দ্রুত শিখতে পারে ও পরিশ্রমী এবং জাপান সরকারকে আরও বেশি সংখ্যক বৃত্তি ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হায়াশি বলেন, জাপান মানবসম্পদ উন্নয়নে বাংলাদেশকে বৃত্তি ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রদান অব্যাহত রাখবে মর্মে আশ্বাস দেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বাংলাদেশকে জাপানের ভ্যাকসিন প্রধানের জন্যে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এ সব সহায়তার কারনেই বাংলাদেশ এ পর্যন্ত দক্ষতার সাথে কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবেলা করেছে।
এছাড়া দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী সমসাময়িক গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়াদি নিয়েও আলোচনা করেন। বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সমস্যা এবং ভাষান চরে স্বেচ্ছায় ৩০ হাজার রোহিঙ্গাকে স্থানান্তরসহ এ পর্যন্ত গৃহীত পদক্ষেপের বিষয়টি তুলে ধরেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশকে এ পর্যন্ত প্রদেয় সহায়তার পাশাপাশি সমস্যা নিরসনে জাপানের অবিচল প্রতিশ্রুতির জন্য জাপানকে ধন্যবাদ জানান। এ সমস্যার দ্রুত সমাধানের জন্য জাপানের আরো সম্পৃক্ততা কামনা করেন।