বাংলাদেশের অবস্থা কখনও শ্রীলঙ্কার মতো হবে না বলে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘সব সূচকে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। পদ্মা সেতু এখন দৃশ্যমান। বাংলাদেশ কখনো শ্রীলঙ্কা হবে না। পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে শেখ হাসিনার অগ্রযাত্রা বন্ধ করা যাবে না।’
ওবায়দুল কাদের শনিবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তরের ইউনিটগুলোর নতুন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির সঙ্গে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিকে তুলনা করা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এটা ষড়যন্ত্রের অংশ। যারা বাংলাদেশের অবস্থা শ্রীলঙ্কার মতো হবে বলছেন, তারা হয় না জেনে বলছেন, না হয় উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচার করছেন। তিনি বলেন, আমাদের পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে। আজকে পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টার্নেল, মেট্রোরেলের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের পর এখন তারা লেগেছে বাংলাদেশ নাকি শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে। করোনার সংকট কাটিয়ে আজ তৃণমূল পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি ভারসাম্য পর্যায়ে রয়েছে। বাংলাদেশে তেমন কোনো সংকট হয়নি। তাই আমি অপপ্রচারকারীদের উদ্দেশে বলতে চাই, অপপ্রচার করে লাভ নেই। বাংলাদেশ ইনশাল্লাহ, কখনও শ্রীলঙ্কা হবে না। আমাদের ক্যাপিটাল অ্যাকাউন্ট উন্মুক্ত নয়, শ্রীলঙ্কার মতো কেউ ইচ্ছা করলে বিদেশে ডলার পাঠাতে পারবে না। শিক্ষা, চিকিৎসা যেকোনো কাজে বিদেশে টাকা পাঠাতে হলে একাউন্ট ওপেন করে তার পাঠাতে হবে। অনেকে মেগা প্রকল্পের কথা বলেন, পদ্মাসেতু বিদেশি ঋণ নির্ভর নয়। আমাদের টাকায় শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু করছেন, বিদেশি ঋণে নয়। কোনো বিদেশি ঋণ নিয়ে এতো বড় মেগা প্রকল্প হয় না। বঙ্গবন্ধুর কন্যা সারা বিশ্বকে দেখিয়েছেন আমরা পারি।
ইউনিট সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের চর্চার প্রমাণ দিয়েছে দাবি করে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ইউনিট সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের চর্চার প্রমাণ দিয়েছে। এটা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও দায়িত্বশীলতার কারণেই সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যদি ঐক্যবদ্ধ থাকে, আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিজয়ের বন্দরে পৌঁছাতে পারবো। আওয়ামী লীগই বিজয়ের বন্দরে পৌঁছাবে। অপপ্রচার, চরিত্রহনন করে লাভ নেই। দেশে বিদেশে প্রোপাগান্ডা করে লাভ নেই। আওয়ামী লীগের শেকড় বাংলাদেশের যত গভীরে, সেটা উপড়ে ফেলা যাবে না।
সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যদি পরাজিত হয় তাহলে সার্বভৌমত্ব পরাভূত হবে। বিএনপি বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করছে। ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙা জবাব দিতে হবে। সব ষড়যন্ত্রকে ব্যর্থ করে বিজয় ছিনিয়ে আনতে হবে।
সভা শেষে চলতি বছরের নভেম্বরেই ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম।