অগ্রবর্তী সময়ের ককপিট
বাংলাদেশ সর্বশেষ

ফলের মৌ মৌ ঘ্রাণ ছড়িয়ে এলো ‘মধুমাস’

নানান ফলের সমাহার নিয়ে এসেছে জ্যৈষ্ঠ মাস। হরেক রসালো ফলের মৌ মৌ ঘ্রাণে এখন প্রকৃতি উতলা।

বাংলা বর্ষপঞ্জিকা অনুযায়ী, বৈশাখের বিদায়ের মধ্য দিয়ে আজ বুধবার (১৫ মে) শুরু হলো জ্যৈষ্ঠ। যা লোকমুখে ‘মধুমাস’ বলেই পরিচিত। যদিও বাংলা অভিধানে চৈত্রকেই ‘মধুমাস’ বলা হয়। তাছাড়া মধু ফলের মধ্যে নয়, ফুলের মধ্যে থাকে। কিন্তু অভিধানের সে মধুমাস অভিধানেই থেকে গেছে। ফলপ্রিয় বাঙালি জ্যৈষ্ঠকেই ‘মধুমাস’ বলে চিনে আসছে। তাদের মুখে, জিভে ও বিশ্বাসে জ্যৈষ্ঠই যেন মধুমাস।

জ্যৈষ্ঠের আগমনে এখন গাছে গাছে নানা জাতের বাহারি সুস্বাদু ফল। অবশ্য এরই মধ্যে শহর কিংবা গ্রামের বাজারগুলোতেও দেখা মিলছে হরেক ফলের। পাকা ফলের মধুর ঘ্রাণ আর মৌমাছির গুঞ্জরনে মুখরিত চারদিক। জ্যৈষ্ঠে ঘরে ঘরে দেখা যাবে ফল উৎসবের আমেজ। একে অন্যের বাড়িতে উপহার হিসেবেও পাঠাবে ফল।

খুলনাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে সাতক্ষীরা, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গার গাছে গাছে পেকে আছে আম। কোনোটা সিঁদুরে, কোনোটা হলদে, কোনোটা উভয়েরই মিশ্রণে রাঙানো। একেক আমের একেক নাম। ওদিকে পেকেছে লিচু। লিচুর গাছে দিনে পাখি আর রাতে বাদুড়ের কোলাহল। পাকা জামও জিভে আনছে জল। সেই জামের মধুর রসে মুখ রঙিন করার স্বপ্ন উঁকি দিচ্ছে।

এছাড়া জামরুল, আনারস, করমচা, আতা, তরমুজ, ফুটি, বাঙ্গি, বেল, কাঁচাতাল, জাম্বুরা, কাউফল, গোলাপজাম, কামরাঙা, লটকনসহ হরেক ফল জাগিয়ে তুলেছে বাঙালির রসনাবিলাসকে। পুষ্টিকর এসব ফলের প্রাচুর্য জ্যৈষ্ঠকে করেছে প্রকৃতির অনন্য মাস।

এই জ্যৈষ্ঠে গাছ থেকে নামানো তাজা ফলের সুবাস ছড়াবে গ্রামের হাটবাজারে। শুধু হাটবাজার নয়, শহরের ফলের দোকানেও দেখা মিলবে বাহারি ফলের সাজানো পসরা।

যদিও অনেক অসাধু বিক্রেতা ফলকে তাজা দেখাতে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার করে এরই মধ্যে কিছু ফল বাজারে তুলেছেন। এ অপতৎপরতা বন্ধে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছেন সংশ্লিষ্টরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খুলনা অঞ্চলের সিনিয়র কৃষিবিদ মো. মোছাদ্দেক হোসেন বলেন, মধুমাসের মিষ্টি ও সুস্বাদু ফল মিশে আছে আমাদের ঐতিহ্যের সঙ্গে। দেশীয় ফল আমাদের সংস্কৃতি, সভ্যতা ও ঐতিহ্যের বড় একটি অংশ। জ্যৈষ্ঠ মাসের ফল পরিবেশের যেমন সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে, তেমনি স্বাদ ও পুষ্টিতেও অনন্য।

তিনি বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অধিক লাভের আশায় পুরোপুরি পুষ্ট হওয়ার আগেই এসব ফল হারভেস্ট (পেড়ে বাজারজাত) করছেন। ফলে স্বাদ ও পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ভোক্তা। এজন্য মাঠ পর্যায়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক বেঁধে দেওয়া সময়ে হারভেস্ট (পাড়া ও বাজারজাত) করার আহ্বান করা হয়েছে।

সম্পর্কিত খবর

এসইজেড অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগ করতে ফিলিপাইনের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহবান

gmtnews

বিএনপি নেতাদের মুখে গণতন্ত্রের কথায় মানুষ হাসে: তথ্যমন্ত্রী

gmtnews

১২ ঘণ্টায় কক্সবাজার থেকে ঢাকায় উদ্বোধনী ট্রেন

Zayed Nahin

মন্তব্য করুণ

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই অপ্ট আউট করতে পারেন। স্বীকার করুন বিস্তারিত