আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মানবাধিকার আইনজীবী, প্রত্যর্পণ বিশেষজ্ঞ এবং লন্ডনভিত্তিক গার্নিকা ৩৭ ল’ ফার্মের যুগ্ম প্রধান টবি ক্যাডম্যান সোমবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
বৈঠকে তাঁরা ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থনে একটি দেশীয় ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ক্যাডম্যানকে উদ্ধৃত করে বলেছে, ‘বাংলাদেশকে দ্রুত সত্য, ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতার জন্য যথাযথভাবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং বাংলাদেশের জনগণ দ্বারা সমর্থিত একটি কার্যকর অভ্যন্তরীণ আইনি কাঠামো প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
প্রধান উপদেষ্টার কাছে বেশ কয়েকটি প্রস্তাব পেশ করার সময় ক্যাডম্যান বলেন, তারা মানবতাবিরোধী অপরাধ, অর্থনৈতিক অপরাধ এবং রাজনৈতিক দুর্নীতির সাথে জড়িত ব্যক্তি, যাঁরা অসদুপায়ে অর্জিত সম্পদ নিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, তাঁদের প্রত্যর্পণের জন্য একটি কাঠামো তৈরির প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে সমর্থন করতে প্রস্তুত।
প্রধান উপদেষ্টা তাঁর প্রস্তাব শোনেন এবং তাঁকে লিখিতভাবে তা দাখিল করতে বলেন। তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় যাঁরা গণহত্যার নির্দেশ দিয়েছিল ও পরিচালনা করেছিল, তাঁদের আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য বিচারের ব্যাপারে তাঁর সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার হচ্ছে, শেখ হাসিনার ১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনামলে বিদেশে পাচার হওয়া শতকোটি ডলার দেশে ফিরিয়ে আনা।