নগরের ফুসফুস খ্যাত নৈসর্গিক সিআরবিতে প্রথম দিনই জমজমাট অমর একুশে বইমেলা। ছুটির দিন হওয়ায় বিকেল থেকে আসতে থাকে নানা বয়সী মানুষ।
বইমেলা মঞ্চে চলছিল একের পর এক দলীয় পরিবেশনা। যদিও তখনো কিছু স্টলে টুকটাক নির্মাণকাজ কাজ চলছিল।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে বইমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।
চসিকের আয়োজনে চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদ, চট্টগ্রাম নাগরিক সমাজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ ও সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সহযোগিতায় এ বইমেলা হচ্ছে। ৪৩ হাজার বর্গফুটে ঢাকা ও চট্টগ্রামের ৯২টি প্রকাশনা সংস্থার ১৫৫টি স্টল থাকবে। এর মধ্যে ডাবল স্টল ৭৮টি, সিঙ্গেল ৭৭টি। এবারের বইমেলার বাজেট ৫০ লাখ টাকা। এবারও জাতীয় জীবনে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য একুশে সম্মাননা স্মারক পদক ও সাহিত্য পুরস্কার দেওয়া হবে।
বাতিঘর, প্রথমা, অন্যধারা, সাহিত্য বিচিত্রা, মূর্ধন্য, লাবণ্য, তৃতীয় চোখ, আবির প্রকাশন, গলুই, বলাকা, খড়িমাটি, শব্দশিল্প, কাকলী, কালধারা, বিদ্যানন্দ, কথাপ্রকাশ, নন্দন, শৈলী প্রকাশন, বলাকা, ইতিহাসের খসড়া, রাদিয়া, চন্দ্রবিন্দু, গল্পকার, প্রজ্ঞালোক, নালন্দা, শিশুপ্রকাশ, প্রতীক, আদিগন্ত, ভোরের কাগজ প্রকাশন, শিখা, সত্যয়ন, নন্দন, শালিক, কথাবিচিত্রা, কথা প্রকাশ, আফসার ব্রাদার্স, বাবুই, গাজী, কিডস পাবলিকেশন, হাওলাদার, ফুলঝুড়ি, নাগরী, ফুলকি, জ্ঞানকোষ, কিংবদন্তি, প্রথমা, দ্বিমত, সালফি, ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড, মাইজভাণ্ডারী প্রকাশন, আলোকধারা বুকস, লাল সবুজ, সহ বিভিন্ন প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের স্টল রয়েছে।
এব মধ্যে বাঁশের বেড়া দিয়ে তৈরি বিদ্যানন্দের স্টলটিকে ঘিরে পাঠক দর্শকদের কৌতূহল দেখা গেছে। সেখানে মেয়েদের ও ছেলেদের বই পড়ার স্থান রাখা হয়েছে।
মেলায় ঢুকতে হাতের বামে সড়কের একপাশে রয়েছে চসিকের তত্ত্বাবধানে, নগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সহযোগিতায় ইতিহাস কথা কয় শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী।
মেলায় শিশু কর্নারে বিভিন্ন রাইড, মুখরোচক খাবারের স্টল, মৃৎশিল্প সামগ্রীর স্টল ছিল জমজমাট।
আগামী ২ মার্চ পর্যন্ত প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা এবং ছুটির দিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বইমেলা চলবে।