সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের গত আসরে ভুটানের বিপক্ষে ৮ গোল করেছিল বাংলাদেশ। আর এবার সেমিফাইনালে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে প্রথমার্ধেই ৫-১ গোলে এগিয়ে গেছেন সাবিনারা।
কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে আজ খেলার তৃতীয় মিনিটেই ভালো আক্রমণ শানায় বাংলাদেশ। তবে সাবিনার ক্রস থেকে শট গোলে রাখতে পারেননি তহুরা খাতুন। চতুর্থ মিনিটে প্রথম কর্নার পায় বাংলাদেশ। তবে সেখান থেকে ফায়দা তুলে নিতে পারেনি মেয়েরা। ষষ্ঠ মিনিটে সাগরিকার শট আটকে দেন ভুটানি ডিফেন্ডাররা। তবে বাংলাদেশকে বেশিক্ষণ আটকে রাখা যায়নি।
সপ্তম মিনিটে ডেডলক ভাঙেন ঋতুপর্ণা। আগর দুই ম্যাচে গোল না পেলেও সেমিতে এসে ম্যাচের শুরুতেই জালের নাগাল পান অভিজ্ঞ এই ফরোয়ার্ড। বক্সের সামনে থেকে লেফট উইংয়ে ঋতুকে পাস দেন মাসুরা পারভীন। বাঁ পায়ের জোরালো ও দূরপাল্লার শটে সরাসরি বক্স কাপান ঋতু। এবারের টুর্নামেন্টে এটি ঋতুর প্রথম গোল।
খেলার ১২ মিনিটে লিড দ্বিগুণের সুযোগ আসে বাংলাদেশের সামনে। তবে সাগরিকাকে গোলবঞ্চিত করেন ভুটানের ডিফেন্ডার দোরজিয়েদন। বাম প্রান্ত দিয়ে ভুটানের সীমানায় ঢুকে পড়েন ঋতু। দারুণ ক্রসে বল দেন বক্সের ডানপ্রান্তে থাকা সাগরিকাকে। তরুণ এই স্ট্রাইকার হেড নিলে বল জাল খুঁজেই নিচ্ছিল। তবে শেষ মুহূর্তে গোললাইন ক্লিয়ারেন্সের মাধ্যমে ভুটানকে বিপদমুক্ত করেন দোরজিয়েদন।
খেলার ১৫তম মিনিটে লিড দ্বিগুণ করেন তহুরা। ডিফেন্ডার সিউলির অ্যাসিস্টে বক্সের সামনে থেকে বাঁ পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন ভারতের বিপক্ষে জোড়া গোল করা তহুরা। প্রতিযোগিতায় এটি তার তৃতীয় গোল।
ম্যাচের ১৮তম মিনিটে গোল পরিশোধের সুযোগ হারায় ভুটান। থ্রু পাস পেয়ে শট নিতে ব্যর্থ হন পেমা চদান শেরিং। আগুন্তুক গোলরক্ষক রুপনা চাকমা বল পুরোপুরি ক্লিয়ার করতে পারেননি। দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় ফাকা গোলেও শট রাখতে পারেননি লাজম।
খেলার ২৫ মিনিটে গোল মিস করে বাংলাদেশ। রুপনার গোলকিক মাঝমাঠে পান সাবিনা খাতুন। কয়েকজনকে কাটিয়ে এই ফরোয়ার্ড শট নেন পোস্টে; তবে বারে লেগে ফিরে আসলে গোলবঞ্চিত হন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তবে পরের মিনিটেই আক্ষেপ ঘোচান সাবিনা। মাঝ মাঠ থেকে ভুটানের এক খেলোয়াড়ের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে আরেক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সের ডান দিক থেকে সাবিনাকে ক্রস দেন মনিকা চাকমা। গোলমুখ থেকে আলতো টোকায় জালে বল জড়ান অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড সাবিনা। এবারের সাফে এটি সাবিনার প্রথম গোল।
৩৮তম মিনিটে চিপশটে বক্সের বাইরে থেকে গোল করেন তহুরা। ততে বাংলাদেশ এগিয়ে যায় ৪-০ ব্যবধানে। এটি ম্যাচে তহুরার দ্বিতীয় গোল, প্রতিযোগিতায় চতুর্থ। দুই মিনিট পর লিড ৫-০ করেন সাবিনা। রুপনার গোলকিক থেকে মাঝমাঠে বল পান সাবিনা। সেখান থেকে ভূটানের কয়েকজনকে কাটানোর পর গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে ফাঁকা জাল কাঁপান বাংলাদেশ অধিনায়ক। ম্যাচে এটি সাবিনার দ্বিতীয় গোল।
৪০তম মিনিটে এক গোল পরিশোধ দেয় ভুটান। বক্সের ডানপ্রান্ত থেকে সতীর্থের ক্রস। সেখান থেকে প্লেসিং শটে রুপনার পায়ের নিচ দিয়ে বলে জাল জড়ান দেকি লাজম। তারপরও প্রথমার্ধে ৫-১ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।