বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, প্রত্যাশার চেয়েও এগিয়ে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজ। বিশ্বমানের এ বিমানবন্দর নির্মাণকাজ প্রত্যাশিত লক্ষ্যের চেয়ে ১ দশমিক ৯ শতাংশ এগিয়ে আছে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর বা অক্টোবর নাগাদ থার্ড টার্মিনাল উদ্বোধন করা সম্ভব হবে।
আজ সোমবার রাজধানীর কুর্মিটোলায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজ পরিদর্শন শেষে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজ শেষ হলে যাত্রী সেবায় অবকাঠামোগত যে সীমাবদ্ধতা আছে তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। প্রতিমন্ত্রী জানান, ৮ এপ্রিল পর্যন্ত শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ ৩২ দশমিক ৭ শতাংশ সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। বাস্তবে এর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে ৩৪ দশমিক ৬ শতাংশ।
তৃতীয় টার্মিনালের কাজের সঙ্গে টার্মিনাল প্রবেশের টানেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সংযোগে কোন সমস্যা নেই উল্লেখ করে বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ কাজগুলোর মধ্যে সমন্বয় করতে হবে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজটি কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হবে। তখন এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে টার্মিনালকে যুক্ত করা হবে। টানেল আশকোনা হজ ক্যাম্প পর্যন্ত সম্প্রসারণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। সেই অনুযায়ী কাজ হবে। এ প্রকল্পের ব্যয় বাড়বে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা আমরা দেখবো। যেটা সামঞ্জস্য ব্যয়, সেটাই দেখা হবে।
মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশের গন্তব্যে উচ্চ দামের বিমান ভাড়া প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, এয়ারলাইন্সগুলোর সঙ্গে বসে বিষয়টি আলোচনা করা হয়েছে। টিকেটের বেশি দাম আগামী এক মাসের মধ্যে কমে আসবে।
শাহজালাল বিমানবন্দরে হাইস্পিড ট্যাক্সিওয়ের নির্মাণ কাজ দ্রুত সম্পন্ন হচ্ছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বলেন, এ কাজটি দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন হচ্ছে। তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন হলে এই বিমানবন্দরে অনেক উড়োজাহাজ আসবে রানওয়েতে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা) সুকেশ কুমার সরকার এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবদুল মালেক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।