বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, পেঁয়াজ উৎপাদন বৃদ্ধি ও দীর্ঘমেয়াদে পেঁয়াজ সংরক্ষণ এবং নতুন জাত উদ্ভাবনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজ উৎপাদনে ঘাটতি রয়েছে। আমদানি করে এই ঘাটতি পূরণ করা হয়। তাই আমরা বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে পেঁয়াজ উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করছি। সারাবছর উৎপাদনের জন্য পেঁয়াজের নতুন জাত উদ্ভাবন, উৎপাদিত পেঁয়াজ যাতে নষ্ট না হয় এবং দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায়, এমন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ’
রোববার রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে বণিক বার্তা ও বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরামের (বিএজেএফ) উদ্যোগে আয়োজিত ‘বাংলাদেশের ৫০ বছর: কৃষির রূপান্তর ও অর্জন’ শীর্ষক কৃষি সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষি ক্ষেত্রে আমরা অনেক এগিয়ে গেছি। কৃষির আধুনিকায়ন ও সরকারের নীতি কৌশলের কারণে এটা সম্ভব হয়েছে। তিনি কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর বিপুল সুযোগকে কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, প্রাণী সম্পদে আমরা এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। একসময় দেশের কোরবাণির প্রাণির চাহিদা মেটাতে বিদেশ থেকে পশু আমদানি করতে হতো, আজ চাহিদার চেয়ে বেশি প্রাণি আমরা উৎপাদন করছি।এখন বাংলাদেশ মাংস রপ্তানির চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, মৎস্য চাষে পৃথিবীতে বাংলাদেশের অবস্থান এখন তৃতীয়। দেশে মৎস্য চাষে বিপ্লব ঘটেছে। বাংলাদেশ প্রতিবছর মাছ রপ্তানি করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার প্রত্যেকটি খাতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, কৃষির বাণিজ্যিকীকরণে অনেক এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ, ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। খাদ্য উৎপাদন অনেক বেড়েছে, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ উৎপাদনে সফল হয়েছি আমরা। তবে অনেক দেশের তুলনায় এখনও আমরা অনেক পিছিয়ে আছি।
তিনি বলেন, কৃষি খাতে উৎপাদন বাড়ানোর প্রচুর সুযোগ আছে। উৎপাদনে প্রযুক্তির ব্যবহার ও নতুন জাত আবিষ্কারের মাধ্যমে আমাদের অনেক দূর এগিয়ে যেতে হবে। সরকার নীতিগত ও কারিগরি সহায়তা বৃদ্ধি করেছে, এ ধরনের সহযোগিতা আরও বাড়ানো হবে।