এভাবেও চ্যাম্পিয়ন লিগে ফেরা যায়!
গতকাল চ্যাম্পিয়ন লিগে ২০ বছর পর ঘরের মাঠে খেলেছে নিউক্যাসল ইউনাইটেড। আর এমন ফেরার ম্যাচে ফরাসি ক্লাব পিএসজিকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে তারা। ইংলিশ ক্লাবটির হয়ে গোল করেছেন মিগেল আলমিরন, ড্যান বার্ন, সিন লংস্টাফ, ফ্যাবিয়ান স্কার। পিএসজির হয়ে একমাত্র গোলটি করেন লুকাস হার্নান্দেজ।
এমন জয় নিঃসন্দেহ ইউরোপের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই টুর্নামেন্টে নিউক্যাসলের ভালো করতে অনুপ্রেরণা জোগাবে। ম্যাচ শেষে কোচ এডি হাউ বলছেন সে কথাই, ‘আশা করছি, এই জয় আমাদের মধ্যে বিশ্বাস জোগাবে যে এই টুর্নামেন্টে আমাদের সফল হওয়া প্রয়োজন।’ পিএসজি কোচ লুইস এনরিকে হারের পরও বলছেন পিএসজি অতটা খারাপ খেলেনি, ‘এই ম্যাচগুলো কোচদের জন্য কঠিন। সত্যি বলতে এমন স্কোরলাইন অন্যায্য। যদিও নিউক্যাসলকে অভিনন্দন জানাতেই হবে, তারা খুবই ভালো খেলছে। কিন্তু ৪-১ স্কোরলাইন, এটা মানা কঠিন।’
নিউক্যাসলের জন্য রাতটা ছিল বিশেষ কিছু। তবে গতকালের চার গোল স্কোরারের কাছে এই জয়ের বাড়তি তাৎপর্য আছে। দুই বছর আগে যখন নিউক্যাসল অবনমন এড়াতে লড়ছিল, তখন মিগেল আলমিরন, সিন লংস্টাফ, ফ্যাবিয়ান স্কার—এই তিন ফুটবলারই দলে ছিলেন। বার্নও কয়েক বছর আগে খেলতেন ইংলিশ ফুটবলে ষষ্ঠ পর্যায়ের ফুটবলে।
বার্ন ও লংস্টাফ দুজন বড় হয়েছে জেমস পার্কে নিউক্যাসলের খেলা দেখতে দেখতে। ম্যাচ শেষে তাই উচ্ছ্বসিত ছিলেন তাঁরা। ৫০ মিনিটে দলকে ৩-০ গোলে এগিয়ে দেওয়া লংস্টাফ বলেছেন, ‘আমি ও বার্নি গোল করেছি, এটা অবিশ্বাস্য। নিউক্যাসলের ফুটবলার হিসেবে আমি গর্বিত। আমি খুবই খুশি।’ বার্ন বলছেন, ‘ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। আমি স্বপ্নে আছি, অপেক্ষা করছি, কেউ এসে আমার ঘুমটা ভাঙাক। পরের লক্ষ্য ডর্টমুন্ডকে হারানো।’
এমন জয়ে খুশি লংস্টাফের পরিবারও, ‘তারা গর্ব করতেই পারে। আমার মনে হয়, তারা কিছুটা ড্রাংকও হবে। বুধবার রাতে হয়তো এমন কিছুর পরিকল্পনা তাদের ছিল না, তবে এখন সেই পরিকল্পনা পরিবর্তন হতেই পারে।’
পিএসজিকে হারিয়ে অবশ্য সৌদি ও কাতারের লড়াইয়ে সৌদিকেও জিতিয়ে দিলেন বার্নরা। এই জয়ে দুই রাউন্ড পর গ্রুপ এফের শীর্ষে নিউক্যাসল। আগের ম্যাচে এসি মিলানের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছিল তারা। এক জয় ও এক ড্রতে ২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট তাদের। এক জয় ও এক হারে পিএসজির পয়েন্ট তিন। তারা আছে পয়েন্ট তালিকার দুই নম্বরে।