তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ গণমানুষের দল। রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আওয়ামী লীগ জন্মলগ্ন থেকে অকুতোভয়ে কাজ করে আসছে। আওয়ামী লীগ আপস করে না, আপস জানে না। দেশের প্রশ্নে, জনগণের প্রশ্নে, আওয়ামী লীগ সব সময় অবিচল। দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার ইতিহাস রয়েছে বিএনপির। আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির নাট্যশালা মিলনায়তনে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সংসদের (বাচসাস) নতুন কমিটির অভিষেক ও গুণীজন সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ পালিয়ে যাবে’—বিএনপি নেতাদের এ বক্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পালানোর ইতিহাস তো বিএনপির। তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া মুচলেকা দিয়ে বিদেশ চলে গেছেন। মুচলেকা দিয়ে তারেক জিয়া বলেছেন, তিনি আর রাজনীতি করবেন না; এবং তাঁর সঙ্গে আরও অনেকে পালিয়ে গেছেন।’বিএনপির সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘আজ শুধু সরকারে নয়, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষকসহ দেশের সব পেশার মানুষের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আগের তুলনায় অনেক গভীরে প্রোথিত হয়েছে। এটাই বিএনপির গাত্রদাহ।
কারণ, তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না। যে দলের মহাসচিব বলেন, পাকিস্তান আমলই ভালো ছিল, তারা কোন চেতনায় বিশ্বাস করে তা সহজেই অনুমেয়। তারা আসলে পাকিস্তানের পক্ষে।’তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার ও জনগণের সম্পত্তি ধ্বংস করা থেকে বিএনপি বিরত থাকলে তাদের সভা–সমাবেশ নিয়ে আমাদের আপত্তি নেই। সরকার এ ক্ষেত্রে তাদের সহযোগিতা করছে এবং সেই কারণেই তারা সমাবেশ করতে পারছে।’আওয়ামী লীগের বিরোধী দলে থাকার ইতিহাস উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা যখন বিরোধী দলে ছিলাম, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শেখ হাসিনার জনসভায় বৃষ্টির মতো গ্রেনেড ছুড়ে হামলা করা হয়েছিল। ২৪ জন মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। তখন আওয়ামী লীগ অফিসের দুই পাশে কাঁটাতারের স্থায়ী বেড়া ছিল, তার বাইরে আমাদের যেতে দেওয়া হতো না। শেখ হেলালকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁর জনসভায় হামলা করে কয়েকজনকে হত্যা করা হয়েছিল। সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জনসভায় হামলা করা হয়েছিল। এস এম কিবরিয়া, আহসান উল্লাহ মাস্টারের জনসভায় হামলা করে তাঁদের হত্যা করা হয়েছিল। এভাবে আমাদের শত শত নেতকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল। কিন্তু বিএনপির সমাবেশে তো বোমা বা গ্রেনেড দূরে থাক, একটি পটকাও ফোটেনি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংস্কৃতিমনা মানুষ। তাঁর নির্দেশে নতুন সিনেপ্লেক্স, সিনেমা হল নির্মাণ ও পুরোনো হল সংস্কারের জন্য এক হাজার কোটি টাকার ঋণ তহবিল গঠিত হয়েছে। কেউ যদি মার্কেটে সিনেপ্লেক্স নির্মাণ করতে চান, ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন। ব্যাংকগুলোকেও আমরা ঋণ দিতে উদ্বুদ্ধ করব।