প্রথম ম্যাচের পর দুই দলের অবস্থান দুই মেরুতে। পাকিস্তানের সঙ্গে আছে জয়ে শুরুর আত্মবিশ্বাস, আর শ্রীলঙ্কার সঙ্গী বড় হারের হতাশা। দাসুন শানাকার দল দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে শুধু হারেইনি, বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ৪২৮ রানও হজম করেছেন বোলাররা।
ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ে সামনে পাকিস্তানকে পাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। তবে এমন ম্যাচের আগে পাকিস্তানের ক্রিকেট পরিচালক যে মন্তব্য করেছেন, তাতে শানাকার দলকে পরিকল্পনায় আরেকটু পরিবর্তনই আনতে হতে পারে। শ্রীলঙ্কা দলের শক্তি–দুর্বলতার খবর যে পাকিস্তান দলের জানা!
পাকিস্তান দলের ক্রিকেট পরিচালক মিকি আর্থার। দক্ষিণ আফ্রিকান এই কোচ একসময় শ্রীলঙ্কার কোচ ছিলেন। তা–ও বেশি দিন আগে নয়। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২১ সালের নভেম্বর সময়ে। শানাকার নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কা দলের বেশির ভাগ খেলোয়াড় সম্পর্কে তাই ভালো ধারণাই আছে আর্থারের। সোমবার আর্থারের বর্তমান দল নামছে সাবেক দলের বিপক্ষে। শ্রীলঙ্কা দল সম্পর্কে জানাশোনাটা নিশ্চয়ই ভালোমতোই কাজে লাগাতে চাইবেন আর্থার? এএফপির প্রশ্নে পাকিস্তানের ক্রিকেট পরিচালকের জবাবও ছিল হ্যাঁ–সূচক, ‘হ্যাঁ, আমি ওদের শক্তি ও দুর্বলতা সম্পর্কে জানি। ওদের বিপক্ষে পরিকল্পনা সাজাতে এটা কাজেও লাগাব। শ্রীলঙ্কা কিন্তু বিপজ্জনক দল। জিততে হলে আমাদের সেরাটাই খেলতে হবে।’
পাকিস্তান নিজেদের প্রথম ম্যাচেও অবশ্য সেরা ক্রিকেটটা খেলতে পারেনি। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ২৮৬ রানের সংগ্রহ গড়ার আগে মাত্র ৩৮ রানেই ৩ উইকেট হারিয়েছিল দলটি। রান তাড়ায় ডাচরা ৪১ ওভারে তোলে ২০৫ রান। আর্থার অবশ্য জয়ে বিশ্বকাপ শুরু করতে পেরেই খুশি, ‘যদিও খুব ভালো পারফরম্যান্স হয়নি, তবু প্রথম জয়টা আমি উপভোগ করেছি। ম্যাচে যখন দরকার পড়েছে, খেলোয়াড়েরা দাঁড়িয়ে গেছে।’
পাকিস্তান দলের ওপেনার ফখর জামানের ফর্ম ভালো যাচ্ছে না। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে মাত্র ১২ রান করে আউট হয়ে যাওয়ার পর বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যানকে একাদশ থেকে বাদ দেওয়ার দাবি তুলেছেন অনেকে। তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফখরকে আরেকটি সুযোগ দেওয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত আর্থারের কথায়, ‘আমি ওর ফর্ম নিয়ে চিন্তিত নই। সে ভালো খেলোয়াড়, একটা বড় স্কোর থেকে মাত্র এক ইনিংস দূরে।’ ফখরকে পাকিস্তানের একমাত্র ডাবল সেঞ্চুরিয়ান হিসেবেও মনে করিয়ে দিয়েছেন আর্থার।