অগ্রবর্তী সময়ের ককপিট
বাংলাদেশ সর্বশেষ

পরস্পরের প্রতি সহনশীল হতে সবার প্রতি আহ্বান প্রধান বিচারপতির

পরস্পরের প্রতি সহনশীল হতে রাজনৈতিক দলসহ সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। তিনি বলেন, ‘…যেন ভবিষ্যতে সকল ধর্ম ও সকল মতের মানুষের মিলের মধ্য দিয়ে এই দেশের মানুষ বসবাস করতে পারে। সে জন্য অত্যন্ত বেশি সহনশীল হওয়া প্রয়োজন সকলের। সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি, নেতৃবৃন্দের প্রতি ও সকলের প্রতি আহ্বান থাকবে, আপনারা একে–অপরের প্রতি সহনশীল হবেন।’

রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শনিবার অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ‘মানবাধিকার সুরক্ষায় প্যানেল আইনজীবীগণের ভূমিকা’ শীর্ষক ওই কর্মশালার আয়োজন করে।

ইনডেমনিটি  আইনের প্রসঙ্গ টেনে প্রধান বিচারপতি বলেন,  ‘বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবারের হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে না, জাতীয় নেতাদের হত্যার বিচার হবে না মর্মে যে আইন পাস করা হয়েছিল, সেটি ছিল সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিদর্শন।…সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হচ্ছে, এই আইন যেদিন বাতিলের জন্য সংসদে উপস্থাপন করা হলো, সেদিনকার বিরোধী দল ওয়াকআউট করে চলে গেল।’ তিনি বলেন, ‘আমি রাজনৈতিক শিষ্টাচারের কথা বলছি। আপনারা নিজেরা যাঁরা রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন, তাঁরা যদি একে অপরকে শ্রদ্ধা করতে না পারেন, তাঁরা যদি এদেশের মানবাধিকারের লঙ্ঘন কোনটা, অলঙ্ঘন কোনটা—বুঝতে না পারেন, তাহলে এ দেশের মানুষের আরও অনেক কষ্ট হবে ভবিষ্যৎ জীবন পাড়ি দিতে। আশা করব, সকলেই বিষয়টি অনুধাবন করবেন।’

রাজনৈতিক মতভেদ থাকতে পারে উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘কিন্তু মানুষ হিসেবে একে–অপরের প্রতি যদি শ্রদ্ধাশীল না হন, তাহলে কিন্তু কোনো দিন বাংলাদেশ একটি সুন্দর সমাজ পাবে না।’

মানবাধিকার কর্মীদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘রাজনৈতিক নেতার যেমন মানবাধিকার আছে, রাজনৈতিক কর্মীরও মানবাধিকার আছে। যে রাস্তায় রাজনৈতিক আন্দোলন করবে, তারও মানবাধিকার আছে। যে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে, তারও কিন্তু মানবাধিকার আছে। বিষয়টি অনেক সময় গুলিয়ে ফেলি।…অতিরিক্ত বল প্রয়োগ তিনিও (রাজনৈতিক কর্মী) যদি করেন পুলিশের ওপর, আর পুলিশও যদি অতিরিক্ত বল প্রয়োগ করে—দুটিই কিন্তু অপরাধ। দুটিই কিন্তু মানবাধিকার লঙ্ঘনের পর্যায়ে পড়ে যায়। সম্প্রতি কিছু ঘটনা ঘটেছে, দেখেছেন। সেখানে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হয়েছে।’

সম্পর্কিত খবর

রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের সামরিক নিপীড়নকে ‘গণহত্যা’ ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

gmtnews

কোন উপজেলায় কে জয়ী

gmtnews

আরও এলএনজি সরবরাহের জন্য কাতারের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান

gmtnews

মন্তব্য করুণ

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই অপ্ট আউট করতে পারেন। স্বীকার করুন বিস্তারিত