আফগানিস্তানের বর্তমানে তিন গুরুত্বপূর্ণ শহরের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে চলছে সরকারি বাহিনী ও তালেবান যোদ্ধাদের মধ্যে তীব্র লড়াই। দেশটির হেলমান্দ প্রদেশের লস্কর গাহে যেকোনও সময় নিয়ন্ত্রণ হারানোর ঝুঁকিতে সরকার।
ব্রিটিশি সংবাদ মাধ্যম বিবিসির বলা হয়, তালেবানের কাছে আফগানিস্তানের প্রথম কোনো প্রাদেশিক রাজধানীর পতন হতে পারে এটি। যুক্তরাষ্ট্র ও আফগান বাহিনীর বিমান হামলা সত্ত্বেও হেলমান্দ প্রদেশের রাজধানী লস্কর গাহের নিয়ন্ত্রণ নিতে রাজপথে তীব্র লড়াই চালাচ্ছে তালেবান যোদ্ধারা। টিভি স্টেশন দখলের কথা জানিয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। আশ্রয়ের খোঁজে গ্রামের দিকে ছুটছে হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ।
এর আগে আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, হেলমান্দের রাজধানী লস্করগাহে তালেবানের লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে তাদের সাতজন যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। তালেবানদের পক্ষ থেকে সেখানকার একটি টেলিভিশন কেন্দ্র দখলের দাবি করা হয়েছে।
এদিকে কাবুল থেকে আল-জাজিরার সংবাদদাতা জানায়, ইতিমধ্যে নানগরহর প্রদেশে তালেবানরা অভিযান জোরদার করেছে বলে সেখানে সেনাদের সঙ্গে তাদের প্রচণ্ড লড়াই চলছে। তালেবান যোদ্ধারা প্রদেশের একেবারে কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে। তারা এখন প্রাদেশিক গভর্নরের কম্পাউন্ড ও পুলিশ সদর দপ্তরের কাছে বিভিন্ন রাস্তায় অবস্থান করছে।
এর আগে গত রোববার বিমানবন্দরে হামলার পর আফগানিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর কান্দাহারের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টায় রয়েছে তালেবান। কান্দাহার জয় করলেও তা হবে তালেবানের বড় বিজয়। এর মধ্য দিয়ে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের বড় অংশের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারবে তারা। এছাড়া পশ্চিমাঞ্চলীয় হেরাত শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই তীব্র লড়াই চলছে। গত শুক্রবার সেখানে জাতিসংঘ কার্যালয় আক্রান্ত হওয়ার কিছু এলাকার নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেয়েছে সরকারি বাহিনী।
উল্লেখ্য, আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সকল সেনা প্রত্যাহার করা হলেও দেশটির সরকারি বাহিনীর বিমান হামলায় সহায়তা দেওয়া চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের তরফ থেকে বলা হয়েছে, সহিংসতা বৃদ্ধি পাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
2 সকল মন্তব্য
[…] পতনের মুখে আফগানিস্তানের প্রথম প্রাদ… […]
[…] সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে এই প্রথম প্রাদেশিক রাজধানী তালেবানের দখলে। বিদ্রোহীরা শুক্রবার বিকেলে […]