সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াবের ‘গণমাধ্যমকর্মী আইনের প্রয়োজন নেই’ এমন বিবৃতি নাকচ করে দিয়েছেন দেশের সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ। এ আইন তাদের দাবিতে হচ্ছে এবং দেশের গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য প্রয়োজন, বলেন তারা।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন- বিএফইউজে এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে আয়োজিত ইফতার ও আলোচনায় বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন নোয়াবের বিবৃতি নাকচ করে বলেন, সাংবাদিকদের দাবির প্রেক্ষিতেই গণমাধ্যমকর্মী আইন প্রণীত হচ্ছে। আইনের খসড়ার কিছু ধারা পরিবর্তন- পরিমার্জনের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষার এ আইন যারা চান না, তাদের সাথে আমরা একমত নই।
অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রধান অতিথি, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, অনেক উন্নত দেশের তুলনায় বাংলাদেশের গণমাধ্যম অনেক ক্ষেত্রে অনেক স্বাধীনভাবে কাজ করে। সরকার চায় গণমাধ্যমের আরো বিকাশ হোক। গণমাধ্যমকর্মী আইন সাংবাদিকদের স্বার্থেই করা হয়েছে। এর খসড়া আরো পরিবর্তন-পরিমার্জন করার কাজ চলছে।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সাংবাদিকদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। হাসানুল হক ইনু এমপি বলেন, গণতন্ত্র ও গণমাধ্যম একসাথে চলবে, গঠনমূলক আলোচনা-সমালোচনা চলবে, দেশ এগিয়ে যাবে।
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা-বাসস’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, দৈনিক যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিব এবং সাংবাদিক সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।