নারী টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সপ্তম উইকেট জুটিতে বিশ্ব রেকর্ড করেছেন বাংলাদেশের সালমা খাতুন ও রিতু মনি। তাদের বিশ্বরেকর্ডের দিন কমনওয়েলথ গেমসের বাছাইপর্বে টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে কেনিয়াকে ৮০ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল।
রান বিবেচনায় এটি নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয় বড় ব্যবধানে জয় বাংলাদেশের। আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ৮ উইকেটে হারিয়েছিলো স্বাগতিক মালয়েশিয়াকে।
এ ম্যাচে ১২ রানে ৫ উইকেট নিয়ে টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে বাংলাদেশের হয়ে সেরা বোলিং ফিগার দাঁড় করান বাঁ-হাতি স্পিনার নাহিদা আকতার।
কুয়ালালামপুরের কিন্নারা অ্যাকাডেমি ওভালে মাঠে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস জিতে প্রথমে বাংলাদেশ দলকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় কেনিয়া।
ব্যাট হাতে শুরুটা ভালোই ছিলো বাংলাদেশের। ১৪ বলে ২৪ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন শামিমা সুলতানা ও মুরশিদা খাতুন। এরমধ্যে মাত্র ৪ রান অবদান রেখে প্রথম আউট হন সুলতানা। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে অধিনায়ক নিগার সুলতানাকে নিয়ে ১৮ রানের জুটি গড়েন মুরশিদা।
নিগারের আউটে দলীয় ৪২ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর ৫০ রানের মধ্যে আরও ৪ উকেটের পতন ঘটে তাদের। এতে ৯ ওভার শেষে ৬ উইকেটে ৫০ রানে পরিণত হয় বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলের হাল ধরে ২০ ওভার পর্যন্ত খেলে ৭৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন সালমা ও রিতু।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সপ্তম উইকেটে বিশ্বরেকর্ড জুটি গড়েন সালমা ও রিতু। আগেরটি ২০১৯ সালের জুনে উগান্ডার বিপক্ষে সপ্তম উইকেটে ৭২ রানের জুটি গড়েছিলেন তানজানিয়ার মনিকা পাসকাল ও নাসারা সাইদি।
সালমা-রিতুর জুটির বিশ্ব রেকর্ডের দিন ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১২৫ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। ৩২ বলে ৩টি চারে অপরাজিত ৩৩ রান করেন সালমা। আর ৩৪ বলে ৩টি চারে অপরাজিত ৩৯ রান করেন রিতু। এছাড়া মুরশিদা ২৬ রান করেন।
কেনিয়াকে ১২৬ রানের টার্গেট দিয়ে বল হাতে জ¦লে উঠেন বাংলাদেশের বোলাররা। ৩ দশমিক ৪ ওভার বল করে ১২ রানে নাহিদার ৫ উইকেটের সুবাদে কেনিয়া ৪৫ রানে অলআউট হয়।
টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে সেরা বোলিং ফিগার দাঁড় করান নাহিদা। সেই সাথে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টিতেও সেরা বোলিং ফিগার এটি। আগেরটি পান্না ঘোষের। ২০১৮ সালের জুলাইয়ে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ ওভারে ১৬ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন পান্না। ম্যাচের সেরা হন নাহিদা।
আগামী ২৩ জানুয়ারি নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে স্কটল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ নারী দল।