জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, সমাজে নারীদের সম্মান, সমঅধিকার ও সমতা প্রতিষ্ঠায় সকলকে আন্তরিক হতে হবে। তিনি বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের পূর্বশর্ত হিসেবে নারীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে জাতিসংঘ বাংলাদেশ আয়োজিত ‘দ্য রোল অব উইমেন ইন বাংলাদেশ : চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড অপর্চুনিটিস ইন পাবলিক লাইফ’ শীর্ষক শীর্ষ পর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে স্পিকার এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ফন লিন্ডের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ওরাকল বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রুবাবা দৌলা, ইউনিলিভারের সিনিয়র ক্যাটাগরি হেড ফারজানা ফেরদৌস, নিজেরা করি ফাউন্ডেশনের কোঅর্ডিনেটর খুশী কবির ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের শাহীন আনাম।
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, নারীর উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে নারীকে সম্মুখসারিতে স্থান দিতে হবে। নারী দৈনন্দিন জীবনের সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এবং পরিবার-সমাজ-রাষ্ট্র কর্তৃক প্রদত্ত সুযোগের সদ্ব্যবহার করেই সম্মুখে অগ্রসর হবে।
তিনি বলেন, জাতীয় সংসদে নারী সংসদ সদস্য সংখ্যা ৩৩ ভাগে উন্নীত করতে সরকার সচেষ্ট আছে। সংসদে বর্তমানে ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসন রয়েছে। নারীরা সরাসরি নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে এবং সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্য হতে পারেন, যা এই সংসদের একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য।
তিনি বলেন, ১৯৭২ সালে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংবিধানে সংরক্ষিত নারী আসন অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন।
স্পিকার বলেন, কর্মজীবী নারীদের কর্মপরিবেশ সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখতে সরকার কাজ করছে। উন্নয়নের মূল স্রোতে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে স্থানীয় সরকারসহ সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীকে সম্পৃক্ত করতে কাজ করছে সরকার।
স্পিকার নারী উন্নয়ন বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠক আয়োজনের জন্য জাতিসংঘ বাংলাদেশকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
বৈঠকে সংসদ সদস্য সৈয়দা জাকিয়া নূর, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালাম, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, এনজি ও ফাউন্ডেশনের শীর্ষস্থানীয় নারী প্রতিনিধিসহ আমন্ত্রিত অতিথি, দেশবরেণ্য সাংবাদিক এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।