আর্মেনিয়া বলেছে, নাগরনো-কারাবাখের প্রায় অর্ধেক জাতিগত আর্মেনীয় নাগরিক আজারবাইজানের প্রতিশোধের ভয়ে ছিটমহল ছেড়ে পালিয়েছে। সাম্প্রতিক একটি সামরিক অভিযানের পর পার্বত্য অঞ্চলটিকে আজারবাইজান নিজের নিয়ন্ত্রণে ফিরিয়ে নিয়েছে।
বিতর্কিত নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চলের প্রায় সব জাতিগত আর্মেনীয় নাগরিক তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে আর্মেনিয়ায় আশ্রয় নিয়েছে বলে ইয়েরেভান খবর দিয়েছে। এক সপ্তাহ আগে এক দিনের সংক্ষিপ্ত যুদ্ধে নাগরনো-কারাবাখের ওপর আজারবাইজান পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করার পর জাতিগত আর্মেনীয়রা অঞ্চলটি থেকে পালাতে শুরু করে।
আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র নাজেলি বাগদাসারিয়ান শনিবার বলেছেন, গত এক সপ্তাহে নাগরনো-কারাবাখ থেকে আর্মেনিয়ায় প্রবেশকারী মানুষের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে গেছে। নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চলের মোট জনসংখ্যা ১ লাখ ২০ হাজার বলে ধারণা করা হয় যাদের বেশিরভাগ আর্মেনীয় বংশোদ্ভূত।
জাতিসঙ্ঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশন ইউএনএইচসিআর ইয়েরেভানের বক্তব্য সমর্থন করে বলেছে, প্রায় এক লাখ মানুষ কারাবাখ অঞ্চল ছেড়ে পালিয়েছে। সহায়-সম্বলহীন এসব মানুষ ক্ষুধার্ত ও পরিশ্রান্ত এবং তাদের তাৎক্ষণিক সাহায্যের প্রয়োজন বলে জাতিসঙ্ঘ জানিয়েছে।
চারদিকে ভূমিবেষ্টিত নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের ভূখণ্ড হিসেবে চিহ্নিত; যদিও সেখানকার বেশিরভাগ নাগরিক আর্মেনীয় বংশোদ্ভূত। তারা এই ভূখণ্ডের ওপর আজারবাইজানের সার্বভৌমত্ব মেনে নিতে রাজি না হওয়ায় গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে অঞ্চলটি নিয়ে ককেশাস অঞ্চলে উত্তেজনা বিরাজ করেছে।
গত সপ্তাহে নাগরনো-কারাবাখের ওপর পূর্ণ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে সেখানকার উত্তেজনা স্থায়ীভাবে প্রশমনের লক্ষ্যে আজারবাইজান সামরিক অভিযান চালায়। ২০ সেপ্টেম্বর শেষ হওয়া মাত্র ২৪ ঘণ্টার অভিযানে আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনীকে নাস্তানাবুদ করে দেয় আজারবাইজান এবং আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অস্ত্র সমর্পণে বাধ্য করে।