অগ্রবর্তী সময়ের ককপিট
বাংলাদেশ সর্বশেষ

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ

হঠাৎ করেই কারণে-অকারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পেলে মানুষ সংকটে পড়ে। করোনা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পরে পুরো বিশ্বেই অর্থনৈতিক মন্দা অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে, তার বিশাল প্রভাব পড়েছে রাজধানী ঢাকার ওপর।

রাজধানীর বাজারে চাল থেকে শুরু করে অতি প্রয়োজনীয় সব দ্রব্যের দাম আকাশছোঁয়া। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মতে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম এক মাসে প্রায় ১৯.৬৪% বেড়ে গেছে। এক মাসের ভেতর দ্রব্যমূল্য এতটা বাড়তে আগে কখনও দেখা যায়নি।

বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্র্রব্যাদির বাজারে লাগামহীন দামে শুধু দরিদ্র নয়, মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে উচ্চ মধ্যবিত্তের নাভিশ্বাস। দরিদ্র মানুষের দু’বেলার খাবার মোটা চালের দাম পৌঁছেছে কেজিতে ৫০ টাকায়। চালের সঙ্গে বাজারে অন্যান্য জিনিসের দাম সমানুপাতিক হারে বৃদ্ধি পায়। যার ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় কৃষক-শ্রমিক-দিনমজুর আর নিম্ন আয়ের মানুষজন। করোনা-পরবর্তী সময়ে মানুষের আয়ের পরিমাণ অনেক কমেছে, যার ফলে আয় এবং ব্যয়ের বিরাট বৈসাদৃশ্য তৈরি হয়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণ এবং দ্রব্যমূল্য মানুষের হাতের নাগালে রাখতে সরকারের এখনই কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

বেসরকারি চাকরিজীবী মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, নতুন এই মূল্যবৃদ্ধি মহামারিতে বিভিন্ন সমস্যায় পড়া স্বল্প ও নির্ধারিত আয়ের মানুষের দুর্দশা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। তারা আগে থেকেই আকাশছোঁয়া দামের সঙ্গে টিকে থাকতে হিমশিম খাচ্ছেন।’

চাল-ডালের পাশাপাশি আটা, চিনি, তরকারি, মাছ, মাংসের দাম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, ক্ষেত্রবিশেষে মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিম্নস্তরে চলে যাচ্ছে। বর্তমানে সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে। শুধু দরিদ্র নয়, মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে উচ্চ মধ্যবিত্ত মানুষের প্রতিদিনকার জীবনযাত্রা অনেক কঠিন হয়ে গেছে। অসাধু এবং অতি লোভী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট জিনিসপত্র মজুদ রেখে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে তুলছে। যার ফলে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্র্রব্যাদির কৃত্রিম সংকট তৈরি হচ্ছে, ধরে রাখা যাচ্ছে না ঊর্ধ্বমূল্যের লাগামহীন ঘোড়া।

সরকার অতিলোভী মুনাফাভোগী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে পারে। এই লোভী শ্রেণি দমনের ক্ষেত্রে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা যেতে পারে। এ ছাড়া শক্ত হাতে নিয়মিত বাজার মনিটরের ব্যবস্থা করতে হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুততর সময়ের মধ্যে জেল বা জরিমানার ব্যবস্থা করতে হবে। হঠাৎ করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেলে জনজীবনে অস্থিরতা তৈরি হয়। তাই সরকারকে সুষ্ঠু বাজার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রেখে জনজীবনে শান্তি ফিরিয়ে আনতে হবে।

সম্পর্কিত খবর

আইএমএফ ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির প্রস্তাব উঠছে আজ

Zayed Nahin

প্রধানমন্ত্রী-১৪ দল নেতাদের বৈঠক আজ

gmtnews

২১ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৯ হাজার ৬১০ কোটি ৪০ লাখ

gmtnews

মন্তব্য করুণ

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই অপ্ট আউট করতে পারেন। স্বীকার করুন বিস্তারিত