দ্বিতীয় মেয়াদে জাতিসংঘের মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন অ্যান্থনিও গুতেরেস। শুক্রবার তাকে ওই পদের জন্য তার নাম ঘোষণা করেন নিরাপত্তা পরিষদের ৭৫তম অধিবেশনের সভাপতি ভলক্যান বজকির।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ নেওয়ার কয়েক সপ্তাহ আগে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে বান কি মুনের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন গুতেরেস। প্রথম মেয়াদের একটা বড় সময় ট্রাম্পকে শান্ত রাখতেই তার কেটে গেছে।
ক্ষমতায় আসার পর জাতিসংঘের মূল্যবোধ ও বহুপাক্ষিকতা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছিলেন ট্রাম্প। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ বেশ কয়েকটি সংস্থার তহবিল কাটছাঁটও করে দেন তিনি।
সংস্থাটির নিয়মিত বাজেটের ২২ শতাংশ আর শান্তিরক্ষী মিশনের এক চতুর্থাংশ অবদান রাখে যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘের যেসব সংস্থার তহবিল ট্রাম্প কাটছাঁট করেছিলেন তা পুনর্বহাল করতে শুরু করেছেন বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর তার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। ফের নির্বাচিত হওয়ায় ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে তার দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হবে। ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ওই দায়িত্বে থাকবেন গুতেরেস। নির্বাচিত হওয়ার পরেই শপথ নেন তিনি।
শপথের পর ৭২ বছর বয়সী গুতেরেস বলেন, মানুষের ভবিষ্যতের জন্য তিনি ক্ষমতার বাইরে গিয়ে কাজ করবেন। বিশ্লেষকদের মতে, দ্বিতীয় অধ্যায়ে করোনা মোকাবিলা গুতেরেসের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। বিশ্বব্যাপী টিকাদান কর্মসূচি থেকে শুরু করে করোনা মহামারি কেন্দ্রিক নানান সমস্যা নিয়ে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে চলা কূটনৈতিক বিবাদ সামলাতে হবে তাকে।
৭২ বছর বয়সী গুতেরেস ১৯৯৫ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এরপর জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার প্রধান ছিলেন ২০০৫ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত।