ঢাকা বাইপাস রোডকে চার লেনের এক্সেস কন্ট্রোল এক্সপেসে উন্নীত করার কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। প্রকল্পের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব রবিবার ৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের কাজের অগ্রগতিপরিদর্শন করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন স্বপ্ন বাস্তবায়নে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশীপ কর্তৃপক্ষ নিরলস ভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। এ সময় বাস্তবায়নকারী কোম্পানি তাকে অবহিত করেন যে, ২০২৪ সাল নাগাদ কাজ টি শেষ হয়ে যাবে এবং আগামী অগাস্টের শুরুতেই ফাইন্যান্সিয়াল ক্লোজিং সম্পন্ন হবে।
এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটির নির্মাণ সময় ৩ বছর। প্রকল্পটির বিনিয়োগকারী কোম্পানী গত মার্চ মাসে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অনুষ্ঠিত সভায় জানায় যে, আগামী ৩০ জুন ২০২১ এর মধ্যে ১০ শতাংশ ভৌত অগ্রগতির লক্ষ্য নিয়ে নির্মান কাজ চলমান আছে। পিপিপি চুক্তি অনুযায়ী, প্রকল্পের অর্থায়নের জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারী অংশীদারদের মধ্যে ঋণচুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। কোভিড পরবর্তী প্রাথমিক প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে প্রকল্প কোম্পানী ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে ডেভেলপমেন্ট কোম্পাণী লিমিটেড কর্তৃক নির্মাণ কাজসহ অন্যান্য প্রাসঙ্গিক কাজ এগিয়ে চলছে।
প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ঢাকা শহরে প্রবেশ না করে বাস ট্রাক অন্যান্য যানবাহন সহজেই দেশের পশ্চিমাঞ্চল। উত্তরাঞ্চল থেকে- পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলে চলাচল করবে। প্রকল্পটির মাধ্যমে ঢাকা শহরের অভ্যন্তরে যানজট নিরসনে সহায়ক হবে এবং নিরাপদ ও আধুনিক সুবিধা সম্বলিত সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হবে যা দেশের সার্বিক ব্যবসা বাণিজ্য বৃদ্ধতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
গত ২২ জুন এই প্রকল্পের জন্য সরকারি সহায়তামূলক ৬৭৪.৭৪ কোটি টাকার সংশোধিত প্রকল্পটি একনেক কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। উল্লেক্ষ্য, এই সংশোধিত প্রকল্পের অর্থ মূলত ভূমি অধিগ্রহণ, পূনর্বাসন ও পরামর্শক খাতে ব্যয় করা হবে। চুক্তির পরে মূল পিপিপি প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধির কোন অবকাশ নেই।
পরিদর্শনের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পিপিপি কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক আবুল বাশার, পরিচালক আনোয়ার হোসেনসহ, প্রকল্প পরিচালক এবং বেসরকারি সহযোগী বা প্রাইভেট পার্টনার ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রথম পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ প্রকল্পের অধীনে এটি বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে।