ঢাকায় গণচীনের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। সোমবার (২৫) সেপ্টেম্বর রাজধানীর হোটেল লে মেরিডিয়ানে এ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাকার চীনা দূতাবাস।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
তিনি বলেন, চীন বাংলাদেশের বন্ধু প্রতীম দেশ ও বৃহৎ উন্নয়ন অংশীদার। সে কারণেই আমরা এক চীন নীতিতে বিশ্বাসী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ-চীনের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সুসম্পর্ক এগিয়ে নিতে দুই দেশের শীর্ষ নেতারা সফর বিনিময় করেছেন। ২০১০, ২০১৪ ও ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফর করেছেন। আর চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ২০১৬ সালে ঢাকা সফর করেছেন। এছাড়া দুই দেশের শীর্ষ নেতা গত মাসে সাউথ আফ্রিকায় বৈঠক করে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গভীরের বার্তা দিয়েছেন।
ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, চীন বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু। দুই দেশের মধ্যে গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান।
তিনি বলেন, সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা অবশ্যই চীনা জাতির মহান পুনর্জীবনের চীনা স্বপ্ন এবং বাংলাদেশের রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন করতে পারব। চীন ও বাংলাদেশ পরস্পরকে সমর্থনকারী ভালো ভাই।
চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, এই বছর আন্তর্জাতিক শিশু দিবস উপলক্ষে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বাংলাদেশি শিশু আলিফা চিনের চিঠির উত্তর দিয়েছেন। তাকে কঠোর পড়াশোনা করতে, তার স্বপ্ন পূরণ করতে এবং বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্ব বজায় রাখতে উত্সাহিত করেছেন। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের চিঠি উভয় দেশেই উষ্ণভাবে স্বাগত জানানো হয়েছে, নতুন ঐতিহাসিক তাৎপর্য দিয়েছে। আগামী দিনে দুই দেশের সম্পর্ক আরও এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যাশা করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক, সামরিক কর্মকর্তা, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, গবেষক, শিক্ষকসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।