অগ্রবর্তী সময়ের ককপিট
ক্রিকেট খেলা সর্বশেষ

ডে অফ ক্রিকেটেই শেষ উইন্ডিজ!

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটে কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নাম প্রত্যাহারের সংস্কৃতি এক যুগের। ২০১০ সালে ক্রিস গেইল, কিয়েরন পোলার্ড ও ডোয়াইন ব্রাভো প্রথম ওই পথে হেঁটেছিলেন। ২০২৩ সালে বোর্ডের ঘোষিত চুক্তিতে নাম রাখেননি সাবেক অধিনায়ক জেসন হোল্ডার ও নিকোলাস পুরান। তাদের পথে হেঁটেছেন পেস অলরাউন্ডার কাইল মেয়ার্স।

তারা তিনজনই ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে চলতি বছরের টি২০ সিরিজে খেলতে চান। অন্য সময়ও খেলতে তাদের আপত্তি নেই। তবে তা নিজেদের সুবিধা মতো, ডে অফে! যখন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ থাকবে না, তখন। জাতীয় দলকে পায়ে ঠেলে টি২০ লিগ বেছে নেওয়ার কারণ, অর্থের মোহ। এক বছরে বোর্ডের দেওয়া বেতন আর ম্যাচ ফি থেকে যে অর্থ তারা আয় করবেন; আইপিএল, ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি২০ কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকা টি২০ আসর থেকে আয় তার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি।

উইন্ডিজ ক্রিকেটারদের বোর্ড থেকে বেতন-ভাতা অস্ট্রেলিয়া কিংবা ভারতের তুলনায় বেশ কম। যে কারণে টি২০ লিগ ক্রিকেটের উত্থানের আগে বোর্ডের সঙ্গে বেতন-ভাতা নিয়ে ঝামেলায় জড়িয়েছেন তারা। এখন সেটা রূপান্তর হয়ে চুক্তি প্রত্যাহারে ঠেকেছে। ২০২২ সালের হিসাবে ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটাররা বোর্ড থেকে বছরে গড়ে প্রায় ২ কোটি ৬ লাখ টাকার মতো বেতন পান।

দ্বীপ অঞ্চলটির একজন ক্রিকেটার বোর্ড থেকে সর্বনিম্ন ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকার মতো এবং সর্বোচ্চ ২ কোটি ২২ লাখ টাকার মতো বেতন পান। ওই তুলনায় একজন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার সর্বনিম্ন প্রায় ৪ কোটি টাকা এবং সর্বোচ্চ প্রায় ১৯ কোটি টাকা বেতন পান। ইংল্যান্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটার সর্বনিম্ন প্রায় ৩ কোটি ও সর্বোচ্চ প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকা বেতন-ভাতা পান। ভারতীয় ক্রিকেটারদের বেতন কাঠামোও ইংল্যান্ডের কাছাকাছি। সবচেয়ে ছোট আর্থিক কাঠামোর নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডও ভালো বেতন দেন।

বাংলাদেশের একজন ক্রিকেটার সর্বনিম্ন ৬০ লাখ এবং সর্বোচ্চ ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকার মতো বেতন পান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফিও অস্ট্রেলিয়া, ভারতের সমান না হলেও বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার কাছাকাছি। বাংলাদেশের টেস্টের ম্যাচ ফি প্রায় ৭ হাজার ডলার, শ্রীলঙ্কার সাড়ে ৬ হাজার। সেখানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোর্ড দেয় ৬ হাজার ডলারের কাছাকাছি।

ওয়ানডে ও টি২০-এর ম্যাচ ফিও বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা থেকে কিছুটা কম পান তারা। তবে এদের সঙ্গে ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটারের পার্থক্য হলো টি২০-এর লিগে তাদের চাহিদা তুঙ্গে। যে কারণে জাতীয় দলের চেয়ে টি২০ লিগে তাদের ঝোঁকও বেশি।

সম্পর্কিত খবর

তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে মাথাব্যথা নেই, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

Zayed Nahin

স্থানীয় দ্বন্দ্বে বাড়ছে বেড়িবাঁধের ক্ষতি

gmtnews

সুদানে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের ‘কঠোর নিন্দা’ যুক্তরাষ্ট্রের

gmtnews

মন্তব্য করুণ

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই অপ্ট আউট করতে পারেন। স্বীকার করুন বিস্তারিত