আজ রোববার সকাল পৌনে নয়টার দিকে বায়ুদূষণে বিশ্বের ১০৯টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান ষষ্ঠ। আইকিউএয়ারের বাতাসের মানসূচকে (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স-একিউআই) এ সময় ঢাকার স্কোর ১৬২। বাতাসের এ মানকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়।
গতকাল শনিবার এ সময়ে বায়ুদূষণে ঢাকার অবস্থান ছিল পঞ্চম। স্কোর ছিল ১৫৪।
আইকিউএয়ারের বাতাসের মানসূচক অনুযায়ী, আজ সকাল পৌনে নয়টার দিকে বিশ্বে বায়ুদূষণে প্রথম অবস্থানে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর। শহরটির স্কোর ১৭৪। দ্বিতীয় স্থানে আছে পাকিস্তানের লাহোর, ১৬৭।
আইকিউএয়ার সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান। তারা নিয়মিত দূষিত বাতাসের শহরের তালিকা প্রকাশ করে।
বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয়, সতর্ক করে।
স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে ‘মাঝারি’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।
স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু ধরা হয়। ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ বা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ধরা হয়।
আইকিউএয়ারের দেওয়া আজকের তালিকায় বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা (পিএম ২.৫) যতটা আছে, তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদণ্ডের চেয়ে সাড়ে ১১ গুণ বেশি। আজ বাতাসের যে পরিস্থিতি, তাতে বাড়ির বাইরে বের হলে মাস্ক পরা স্বাস্থ্যকর, এমনটাই বলছে আইকিউএয়ার।
ঢাকায় গত জানুয়ারি মাসে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক দিন দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের মধ্যে কাটিয়েছে নগরবাসী। জানুয়ারির মোট ৯ দিন রাজধানীর বাতাসের মান দুর্যোগপূর্ণ ছিল, যা গত ৭ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
২০১৯ সালের মার্চে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস—ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণকাজের ধুলা।