দারুণ ব্যাটিং করছেন। বোল্ট-সাউদি-ওয়েগনার পেস ত্রয়ীর আক্রমণ সামলাচ্ছেন দুর্দান্তভাবে। মাত্র এক টেস্ট আগে অভিষেক হওয়া মাহমুদুল হাসান জয় ফিফটি তুলেছেন, তার আগেই হাফ সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন আরেক প্রান্তে থাকা নাজমুল হোসেন শান্তও। দুজনেই আছেন অপরাজিত।
তৃতীয় দিনের শুরুতে নিউজিল্যান্ডকে অলআউট করে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটিতে ৪৩ রান যোগ করেন সাদমান ইসলাম ও মাহমুদুল হাসান জয়। ৫৫ বলে ২২ রান করে সাদমান ফিরলেও ফিফটি তুলে নিয়েছেন জয়। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৮১ বলে ৫৫ রান করেছেন তিনি। ১০৬ বলে ৬৩ রান করে অপরাজিত আছেন শান্ত।
এর আগে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫৮ রান নিয়ে দিন শুরু করে নিউজিল্যান্ড। হেনরি নিকোলস ৩২ আর রাচিন রবীন্দ্র ০ রানে দ্বিতীয় দিন শুরু করেন। তবে নতুন ব্যাটসম্যান রবীন্দ্রকে সেট হতে দেননি শরিফুল। তার একটু ভেতরে ঢোকানো বলে ফরোয়ার্ড ডিফেন্স করেছিলেন রাচিন। কিন্তু বল ব্যাটে চুমু খেয়ে চলে যায় তৃতীয় স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা ফিল্ডারের হাতে। সেখানে সাদমান কোনো ভুল করেননি। ক্যাচ নিয়ে শরিফুলকে তৃতীয় উইকেটের স্বাদ দেন তিনি। রাচিন ফেরেন ৪ রান করে।
উইকেটের ফায়দা নিয়ে মিরাজ পান তার দ্বিতীয় আর তৃতীয় সাফল্য। কাইল জেমিনসনের পর তার শিকার টিম সাউদি ও নেইল ওয়েগনার। টিম সাউদি (৬) তার বল উড়াতে গিয়ে শর্ট মিড উইকেটে মুমিনুলের হাতে ক্যাচ দেন। নতুন ব্যাটসম্যান ওয়েগনার (০) তার বল ফরোয়ার্ড ডিফেন্স করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। কিন্তু বাংলাদেশের আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার ক্রিস গ্রাফিনি। রিভিউ নিয়ে ওয়েগনারের উইকেট পান মিরাজ।
হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু বোল্ট মিরাজের বল দেখেশুনে খেলেন। পরে নিকোলস ৭৫ রান করে মুমিনুলের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হলে ৩২৮ রানে গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংস।