প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সময় দিলে আগামী জুন মাসের শেষেই পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু উদ্বোধন নিয়ে ধোঁয়াশার কোনো কারণ নেই। আমি মন্ত্রী হিসেবে জেনে-শুনেই বলছি, জুনেই সেতু উদ্বোধন করা হবে।’
সেতুমন্ত্রী গতকাল বুধবার বনানীস্থ সেতু ভবনে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের বোর্ড সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আগামী মাসের শেষ দিকে আমরা পদ্মা সেতু উদ্বোধনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা এ সংক্রান্ত সারসংক্ষেপ পাঠাচ্ছি। আমরা শেষ দিকে আছি, সামান্য কিছু কাজ বাকী। এটা মে মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সময় দিলে জুনের শেষেই পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘আজকের বোর্ড সভায় আমরা কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেতু বিভাগের আওতায় বেশকিছু জনগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এরমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রকল্প পদ্মা বহুমূখী সেতু।’
সেতুর কাজের অগ্রগতি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, মূল সেতু বাস্তবায়ন কাজের অগ্রগতি ৯৮ ভাগ, নদী শাসন ৯২ ভাগ, মূল সেতুর কার্পেটিং ৯১ ভাগ, সার্বিক সেতু প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজের অগ্রগতি ৯৩ দশমিক ৫০ ভাগ।
সেতুর নাম করণ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বারবার প্রধানমন্ত্রীকে বলার চেষ্টা করেছি, সেতুর নাম শেখ হাসিনা পদ্মাসেতু করার জোরালো দাবি এসেছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী রাজি হচ্ছেন না। উদ্বোধনের যে সামারি আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠাব সেখানে আবারও নাম ‘শেখ হাসিনা পদ্মাসেতু’ প্রস্তাব করা হবে। তিনিই নাম ঠিক করবেন, সেটা ওনার এখতিয়ার।’
পদ্মা সেতুর টোল হার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল বলেন, ‘আমরা টোলের সামারি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছি। তিনি যেটা অনুমোদন করবেন সেটাই হবে।’
পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জুলাই থেকে রেল সংযোগের কাজ শুরু হবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প কর্ণফুলীর তলদেশে টানেল নির্মাণ। টানেল প্রকল্পের সার্বিক কাজের অগ্রগতি ৮৫ ভাগ। আশা করছি এ বছরই টানেল আলোর মুখ দেখবে।