শীতের শুরুতেই জার্মানিতে তীব্র তুষারপাত শুরু হয়েছে। হিমশীতল আবহাওয়া গোটা জার্মানিতে জেঁকে বসেছে। তবে দক্ষিণ জার্মানিতে এর প্রভাব পড়েছে সবচেয়ে বেশি। তুষার ও বরফময় আবহাওয়া জনজীবন বিপর্যস্ত করে তুলেছে। এমন আবহাওয়ায় ইতিমধ্যে দুর্ঘটনায় শিশুসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
দক্ষিণ জার্মানির বাভারিয়া রাজ্যে তুষারপাত সবচেয়ে বেশি হয়েছে। গত সোমবার সেখানে অনেক ট্রেন ও বিমানের ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে সব স্কুল।
মিউনিখ থেকে কমপক্ষে ৩০০ উড্ডয়ন এবং অবতরণ ফ্লাইট অপারেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া ভালো হলে স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার বিকেল থেকে আবার বিমান চলাচল শুরু হওয়ার কথা ছিল।
তুষারপাতের কারণে দেশজুড়ে সড়ক ও মহাসড়কগুলো পিচ্ছিল হয়ে গেছে। এ কারণে বেড়েছে সড়ক দুর্ঘটনা।
তুষারপাতের কারণে পিচ্ছিল হয়ে পড়েছে সড়ক–মহাসড়কগুলো। এতে দুর্ঘটনা বাড়ছে। হ্যানোভার, জার্মানিছবি: সরাফ আহমেদ
এদিকে তুষারের প্রকোপে জার্মানির রেল যোগাযোগব্যবস্থায় বড় ধরনের ব্যাঘাত ঘটেছে। সপ্তাহান্তে প্রবল তুষারপাত দক্ষিণ জার্মানির বেশির ভাগ অংশে রেল ট্রাফিক অচল হয়ে পড়েছে৷ রেললাইনে গাছ পড়ে রয়েছে। বরফ জমে যাওয়ায় রেললাইনে ট্রেন চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
সোমবার বাডেনভুটেনবের্গ রাজ্যের হাইলবর্নে একটি বাসের সঙ্গে ধাক্কায় একজন গাড়িচালক নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া এরজেবির্গ শহরে একটি স্কুল বাসের সঙ্গে দুর্ঘটনায় এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই বাসের চালকসহ ১০ জন স্কুলছাত্র আহত হয়েছে।
উত্তর জার্মানির লোয়ার স্যাক্সনি, হামবুর্গ ও দক্ষিণের শ্লেসউইগ-হলস্টেইন রাজ্যে তুষারপাতের পর অনেক সড়ক পিচ্ছিল হয়ে গেছে। এসব অঞ্চলের সড়ক পিচ্ছিল হয়ে যাওয়ায় ধীরে গাড়ি চালানোর পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ।
স্টুটগার্টে দুজন স্কুলছাত্রী একটি লেকে জমে যাওয়া বরফের ওপর দিয়ে হাঁটতে গিয়ে ফাটল দিয়ে শীতল পানিতে তলিয়ে গেছে। উদ্ধারকারী দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছানোয় তারা বেঁচে গেছে।
জার্মানির সব জায়গায় বরফের ওপর প্রবেশে সতর্কতা জারি করেছে ফায়ার সার্ভিস।
জার্মানির আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, এই হিমশীতল আবহাওয়া আরও কয়েক দিন স্থায়ী হবে।