আগামী বছর জানুয়ারি মাসের মধ্যেই অন্তত ১২ কোটি ডোজ টিকা দেয়া সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যেই অন্তত ৭ কোটি ডোজ ভ্যক্সিন দেয়া হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী বছর জানুয়ারি মাসের মধ্যেই অন্তত ১২ কোটি ডোজ টিকা দেয়া সম্ভব হবে। সেটি করা গেলে করোনায় মৃত্যুহার শূন্যের কোটায় নামানো সম্ভব হবে।’
জাহিদ মালেক গতকাল রোববার দুপুরে গাজীপুরের কাশিমপুরে নতুন একটু ঔষধ কোম্পানি ডিবিএল ফার্মাসিউটিক্যালসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে ভ্যাক্সিনের কোন ঘাটতি নেই। হাতে ১ কোটির উপরে টিকা আছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের সব মানুষকেই টিকা দেয়া হবে। সেজন্যই আমরা ২১ কোটি ডোজ টিকা কিনে রেখেছি। সেখান থেকে এ মাসে অন্তত ৩ কোটি ডোজ টিকা আসবে। আগামী মাসেও একই হারে আসবার কথা রয়েছে।
তিনি বলেন, দেশে করোনা মহামারি চলাকালেও কোথাও ওষুধের ঘাটতি দেখা দেয়নি। গ্রাম পর্যায়েও এই ওষুধ ছিল পর্যাপ্ত। বাংলাদেশের ওষুধ দেশীয় চাহিদার ৯৮ ভাগ পুরণ করেও বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর আয় হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ওষুধ এখন বিশ্বের ১৪৫ টি দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। এই ওষুধ বিদেশে রপ্তানি করে গত ছয় বছরে ৫ বিলিয়ন আয় থেকে এখন ৩১ বিলিয়ন রপ্তানি আয় করা সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি, দেশের প্রায় ৯৮ ভাগ মানুষের সেবা দেয়া সম্বব হচ্ছে দেশের ওষুধ দিয়েই। গার্মেন্টস ফ্যাকটরির পর দেশের অন্যতম একটি বড় একটি আয়ের উৎস হতে যাচ্ছে ওষুধ কোম্পানি। তবে দেশে যেনো কোন ভেজাল ওষুধ না থাকে ও মানসম্পন্ন এবং সাশ্রয়ী ওষুধ হয় তার জন্য আমরা একটি নতুন ঔষধ নীতিমালা করতে যাচ্ছি। এতে করে দেশের বাজারে অকারণে কেউ আর মুল্য বৃদ্ধি করতে পারবে না।
এসময় সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত এমপি, কেন্দ্রীয় ঔষধ প্রশাসনের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহাবুবুর রহমান, ডিবিএল ফার্মাসিউটিক্যালসের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ উপস্থিত ছিলেন।